ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ঊষার প্রেসিডেন্ট মার্কেলর চাই সমস্ত গ্রিন গুশানে ঈশ্বরের মতো একক আধিপত্য, যা চরিতার্থের জন্য দ্বীপে দ্বীপে চলে তার নানা সামরিক কূটনৈতিক চাল। যে দ্বীপে তিনি অভিযানে সফল তার তরল-সোনা কী কোলো-মানিক সব তার কুক্ষিগত। কিন্তু তাতে দ্বীপটির অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সব যেমন বিনাশে যায় এদিকে ঊষারও যে রক্তক্ষয়, অর্থনাশ তাতে তারও আপন কূল রাখা দুরূহ। তাই বলে তিনি তো গ্রিন গুশানে তার একক অধীশ্বর হওয়ার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হতে পারেন না! তাই এবার তেমন কোনো রক্তক্ষয়, অর্থনাশ না করে শ্যামদ্বীপে তার ভিন্ন কৌশল; যে মহাযজ্ঞের মধ্যে পড়ে দ্বীপের জল-হাওয়া-মাটি-শস্য-খনি, মানুষের প্রেম-যৌনতা-সংস্কৃতি, এমন কী জাতিসত্ত্বা অদ্ভুত এক বলির যূপকাষ্ঠে। এখান থেকে শ্যামদ্বীপ কী নিজেকে উদ্ধার করতে পারবে নাকি সফল হবেন মার্কেল! এভাবে এক অধিবাস্তবতার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন মালিক বিশ্ব রাজনীতির মহাকাব্যিক এক বাস্তবতাকে রূপক-প্রতীক-যাদুবাস্তবতার সংশেষে অভিনব আঙ্গিকে নাতিদীর্ঘ পরিসরে তুলে আনার যে কঠিন প্রয়াস নেন তা হয়ে ওঠে এক মহাপুরাণ। আমাদের কথাসাহিত্যে অতিমানবের ঈশ্বরবাসনা এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে চিহ্নিত হওয়ার দাবি রাখে।