মর্মান্তিক ও বিয়োগান্ত গতকল্য ঢাকায় পুলিশের গুলীবর্ষণে একজন ছাত্র নিহত এবং লাঠিচার্জের ফলে বহু ব্যক্তি আহত হইয়াছে। আহতদের মধ্যে ঢাকার একটি সংবাদপত্রে স্টাফ ফটোগ্রাফারের অবস্থা এই প্রবন্ধ লেখার সময় পর্যন্ত গুরুতর বলিয়া জানা গিয়াছে। যে কোন ব্যাপারেই আমরা শক্তি প্রয়োগ নীতির বিরোধী। গত দুইদিন যাবৎ ঢাকার ছাত্র ধর্মঘট পরিস্থিতি লক্ষ্য করিয়া আমরা এই আশঙ্কাই পোষণ করিতেছিলাম যে, শেষ পর্যন্ত ইহার মর্মান্তিক ও বিয়োগান্ত পরিণতি না ঘটে। গতকল্য শহরে রক্তপাত ও প্রাণহানির মধ্য দিয়া আমদের এই আশঙ্কাই সত্যে পরিণত হইয়াছে। দেশের উভয় অংশের পরিস্থিতিই বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ। ঢাকার ছাত্র বিক্ষোভ কোন একটি বিচিছন্ন ঘটনা নহে। সরকার বিক্ষুব্ধ ছাত্রগণকে বাধা প্রদানের নীতি গ্রহণ না করিয়া তাহাদিগকে সভা ও শোভাযাত্রা পরিচালনার সুযোগ প্রদান করিলে শান্তিভঙ্গের কারণ ঘটিত কিনা, তাহা বিবেচনা করা প্রয়োজন। ছাত্ররা সভানুষ্ঠান বা শোভাযাত্রা পরিচালনার সময় উচ্ছৃংখল হইয়া উঠিলে বা শান্তিভঙ্গ হওয়ার মত পরিস্থিতি দেখা দিলে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই শান্তি রক্ষায় কঠোরতা প্রদর্শন করিতে হইত। কিন্তু শাস্তি ভঙ্গের আশঙ্কা করিয়া পূর্ব্ব হইতেই ১৪৪ ধারা জারীসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ দ্বারা বর্তমান বিয়োগান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হইয়াছে কিনা, তাহাও বিচার করিয়া দেখার মত।