"বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বঙ্গবন্ধু ছিলেন গণমাধ্যম-বান্ধব এক রাজনৈতিক নেতা। রাজনীতির প্রথম দিনগুলাে থেকেই তিনি ছিলেন কোনাে কোনাে সংবাদপত্রের প্রতিনিধি অথবা একান্ত সহযােগী। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে সংবাদপত্র হতে পারে সহযােদ্ধা, তা তিনি প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। ফলে সংবাদ, সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি গড়ে নিয়েছিলেন একটি আত্মিক সম্পর্ক। এরফলে আমরা দেখতে পাই যখন জেনারেল আইয়ুব খানের সরকার তার বিরুদ্ধে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেছে তখন তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকরা। ইতিহাসের বিশ্লেষণে দেখতে পাই, মুসলিম লীগের দৈনিক পত্রিকা আজাদও এক সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে এসে না দাঁড়িয়ে পারেনি। এটা একমাত্র বঙ্গবন্ধুর বিশাল ব্যক্তিত্বের কারণেই ঘটেছিল এমন নয়, বরং তিনি যে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বরাবরই ছিলেন সংশ্লিষ্ট এবং একাত্ম- এটা ছিল তারই প্রতিফলন। এই প্রেক্ষাপটেই বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম শীর্ষক গ্রন্থটি কিছু নতুন, কিছু পুরাতন এবং কিছু সংগ্রহ ও সংকলন করা প্রবন্ধ ও নিবন্ধ দ্বারা সাজানাে হয়েছে। ২০১২ সালে ও ২০১৩ সালে জাতীয় শােক দিবস উপলক্ষে নিরীক্ষার সংখ্যাগুলাে এই গ্রন্থের ভিতকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পরে আরাে কিছু নতুন লেখাও এখানে যুক্ত হয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে জাতীয় শােক দিবস উপলক্ষে আয়ােজিত সেমিনারে উত্থাপিত বঙ্গবন্ধুর উপর বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খানের লেখাটি দ্বিতীয় সংস্করণে সংযােজিত হল।