ভূমিকা কনিষ্ঠতম হয়েও চলচ্চিত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পমাধ্যম হিসেবে হিসেবে অবিস অবিসংবাদিত। শুধু সময়ের নিরিখেই নয়, প্রযুক্তির ব্যবহারে, কলাকুশলতায় এবং বৈচিত্র্যের গুণে একে আধুনিকতম বলেও স্বীকার করতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে যা হয়, কনিষ্ঠরা জ্যেষ্ঠদের অভিজ্ঞতা থেকে, বিশেষ করে ভুলত্রুটি দেখে, তাদের কর্মকাণ্ড সংশোধনের যে সুযোগ পেয়ে থাকে, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। শেষে এসে পৌঁছলে বিব্রত বোধ করার বিপন্নতা কিছুটা সত্ত্বেও বিলম্বের উপহারগুলো ক্ষতিপূরণের কাজ করে। কিন্তু বিলম্বে পৌঁছবার এবং সেই কারণে আধুনিক হবার যে প্রবণতা ও আগ্রহ তার ফলে অতীতের বেশ কিছু পরীক্ষিত সুন্দর অভিজ্ঞতাও অবহেলিত হতে পারে অথবা উপেক্ষিত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও সীমিত আকারে এবং বিনম্রভাবে হলেও এমন অনুযোগ রাখা হয়েছে। যে চিত্র সচল তাই চলচ্চিত্র। কিন্তু তার আগে এবং এখনো স্থিরচিত্র ছিল ও রয়ে গিয়েছে। এই অর্থে ফটোগ্রাফি বা স্থিরচিত্র চলচ্চিত্রের উত্তরসূরি, সূচনাকারী বা উৎস। জন্মসূত্রে চলচ্চিত্র স্থিরচিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যার প্রভাব বা প্রতিফলন সচলতার মধ্যেও সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়নি। যেমন পোর্ট্রেটে সোজাসুজি তাকিয়ে থাকার ভঙ্গি ও প্রকাশময়তা, গ্রুপ ফটোগ্রাফে দলীয় আবহ সৃষ্টির ব্যঞ্জনা কিংবা প্রাকৃতিক কোনো দৃশ্যের নির্বাচিত কোনো প্রতিফলন, এমনকি গৃহাভ্যন্তরে পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে আসবাবপত্র এবং পর্দা দিয়ে ছড়িয়ে পড়া আলোর সামঞ্জস্য অথবা বাড়িতে মোমের বা গ্যাসের বাতির আলো-ছায়ায় উজ্জ্বল এবং অনুজ্জ্বল প্রতিকৃতির বৈপরীত্য,
Hasnat Abdul Hye জন্ম ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে, কলকাতায় । পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার সৈয়দাবাদ গ্রামে। স্কুল শিক্ষা কলকাতা, যশোর, ফরিদপুর শহরে। কলেজ শিক্ষা ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকস এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা । ১৯৬৫ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর প্রাক্তন পাকিস্তান সরকার এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। হাসনাত আবদুল হাই ছাত্র জীবন থেকে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে ছোটগল্প রচনার মাধ্যমে। ছোটগল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ-কাহিনী, শিল্প ও সাহিত্য সমালোচনা এবং নাটক এই সব শাখায় স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন চার দশকের অধিককাল ।বাংলা এবং ইংরেজিতে একটি কবিতার বই লিখেছেন জাপানে প্ৰবাস জীবনে। প্ৰকাশিত ছোটগল্প গ্রন্থের সংখ্যা পাঁচ, উপন্যাস পঁচিশ এবং ভ্ৰমণ-কাহিনী ছয় । সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন অলক্ত পুরস্কার, মোহাম্মদ আকরম খাঁ বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। তাঁর লেখা উপন্যাস সুলতান ডাবলিন আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।