ফ্ল্যাপে লিখা কথা মানবতা, দেশপ্রেম ও বঞ্চিত মানুষের অনুভূতির প্রকাশ এ কবিতা গ্রন্থে। জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখ যে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছিল, আবেগ ও আন্তরিকতায় তার প্রতিকারে বহি:প্রকাশ ঘটেছে তার কবিতায়। কোন এক সময়ের অভিজ্ঞতা ছিল এমন- ‘নষ্ট মানুষেরা এখন কআমকে প্রতিপালন করে এখানে অনায়াসে যা পাই খাই, শুধু খাই-রুচিহীন -কোন প্রতিবাদ নেই নিঁখুত ঘৃণার মাঝে এক নিষিদ্ধ নগরীতে এখন আমার বসতকবাড়ী!’ তাই প্রতিকারের প্রকাশ এভাবে- ‘আমি যেতে চাই প্রতিতার কাছে শূন্য হাতে, পূণ্যের ঐ ফল নিতে, নষ্ট-নূরু যেখানে অবলীলায় পুণ্য দেয় বিসর্জন। আম যেতে চাই - ঐ পাপের আড়ালে।’
সূচি * চোখের ভেতর সুখ * আপন পর * অশ্রু থামে না এখন * হাত পেতে আছো কেন * হৃদয়ে ক্যান্সার * শব্দহীন কান্নার ছবি * আফসোস * জাতীয় পতাকার অভ্যুদয় * দহন * কষ্ট বোধ থেকে প্রত্যাশা * ভয় করি না * মৃত্যুকে আর্শিবাদ * জলে জলে সমুদ্র * সৈকতে চাঁদনি রাতে * নীলিমায় ছড়ানো হাত * কোন এক দু:সময়ে * বঙ্গোপসাগরে র প্রতি * বুকের বাম পাশে ফ্লপি ডিস্ক * পাপের পোড়ানো হরিণ * কবরের দিকে * নির্বা্সনে জীবনযাপন * উত্তর পাইনি এখনও * অনেক কথার গল্প শুনি * অঘটনের দুর্ঘটনা * ব্যর্থ পথিক * অবিশ্বাসের পংক্তিমালা * সুন্দরতম ঘরে ফিরে যাব * ক্ষুধার রাজ্যে আমার কবিতার উৎস ইদানীং ওরা * নরকে বসতবাড়ী * মানুষ আসুক * আমার কৈফিয়ত * বার বারা প্রতিবার * নিভৃত পথচারী * পথচলা শেষ হবে * আমার অক্ষমতা * ফিরিয় দাও সুখ * পোড়া মন * অভিমান * আত্নোপলব্ধি * ন্যরকম বাংলাদেশ * বাংলাদেশ থেমে আছে * পূর্ণিমার চাঁদ * আমি ভাববো না
জন্ম : শ্যামসুন্দর সিকদার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার লোনসিং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম-গিরেন্দ্র মোহন সিকদার, মাতার নাম-কৃষ্ণদাসী সিকদার ৭ ভাই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। মাটি-জল, খাল-নদী এবং শস্য-শ্যামল প্রকৃতি দেখে দেখে গ্রামীণ পরিবেশে তার কৈশোর কেটেছে। শিক্ষাজীবন : নিজগ্রাম দক্ষিণ লোনসিং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার প্রথমপাঠ শুরু। অতঃপর নড়িয়া বিহারী লাল হাই স্কুল, ফেনী মডেল হাই স্কুল এবং ফেনী কলেজে অধ্যয়ন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে ১৯৮১ শিক্ষাবর্ষে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৮ সালে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে এমবিএ ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। কর্মজীবন : ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৬ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনসহ বিসিকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে এবং ২০১৭ সাল থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে যথাক্রমে সচিব ও সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। সাহিত্যকর্ম : শ্যামসুন্দর সিকদার ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন প্রথিতযশা কবি ও সাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৫০। তন্মধ্যে কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধ, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী, ছড়া, শিক্ষামূলক গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস এবং গবেষণামূলক গ্রন্থ। সাহিত্য ও গবেষণা কর্মের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক।