''যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বিচার : রায়ের পূর্ণ বিবরণ'' বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা : সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এই রায় একটি ইতিহাস, যেখানে উল্লেখ আছে তার নৃশংসতার কথা, উল্লেখ আছে গুডস হিল নামক এক নরকের বর্ণনা, আছে প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, আছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ইতিকথাও । এগুলো সব জানা দরকার আপামর জনগণের। সেই জানানোর তাগিদ থেকেই, আমরা আইনের ছাত্র না হয়েও দুঃসাহস দেখিয়েছি এই রায় অনুবাদ করার । আইনি পরিভাষা জানা না থাকায় প্রকৃত শব্দ চয়ন হয়তো কোন কোন ক্ষেত্রে যথার্থ হয় নি, কিন্তু আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছি মূল বক্তব্য থেকে বিচ্যুত না হয়ে সাবলীলভাবে অনুবাদ কাজ তুলে আনতে । সফলতা, ব্যর্থতা পাঠক ঠিক করবেন । কথা দিচ্ছি, সকল ধরনের পরামর্শ আমরা সাদরে গ্রহণ করে ভবিষ্যতে ঋদ্ধ করবো আমাদের এই অনুবাদকে । আমাদের কাছে মনে হয়েছিল যে, এগুলোকে যদি বাংলায় অনুবাদ করা যেতো, তবে এই সকল পশুসম মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি মানুষের যে সামান্য সহানুভূতি জন্মেছে, তা জমতো না। বরং ঘৃণার আগুনটা আরেকটু বেশি জ্বলতো। এই দায়বদ্ধতা থেকেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের অনুবাদ করা শুরু করি আমরা । আমাদের এই দলে মোট বারো জন সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে দশ জন সরাসরি অনুবাদ করেছেন । পাঁচজন (যাঁদের মধ্যে তিনজন অনুবাদও করেছেন) সম্পাদনার কাজ করেছেন । এবং একজন উপদেষ্টার ভূমিকায় ছিলেন। ইনি আবার চূড়ান্ত সম্পাদনাতেও যুক্ত ছিলেন । অনুবাদের কাজটি খুব কঠিন ছিল, কারণ এটা আইনের একটা বিষয় । পরিভাষাগত সমস্যা ছাড়াও, আইনের ইংরেজির সাথে আমাদের সম্যক ধারণা না থাকাতে কাজটা আয়াসসাধ্য হয় নি মোটেও । যেহেতু দশ জনে মিলে অনুবাদ করা হয়েছে, ভাষাগত ভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক ছিল । হয়েছেও তাই। সেগুলোকে সম্পাদনার মাধ্যমে সমন্বিত করাটা কষ্টকর এবং সময়সাপেক্ষ কাজ ছিল একটা । অনুবাদের সঙ্গে সরাসরি যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুইজন নিজেদের নাম প্রকাশের ব্যাপারে অনিচ্ছুক । অন্তরালে থেকে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়াতেই তাঁদের আনন্দ, এটাই জানিয়েছেন তাঁরা। এই দুজনকে বাদ দিয়ে অনুবাদের সাথে যারা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন তাঁরা হচ্ছেন- ১। আরিফ রহমান ২। আহমদ রনি ৩। সাব্বির হোসাইন ৪ । সুমিত রায় ৫। সুবর্ণা সেঁজুতি ৬। দেব প্রসাদ দেবু ৭ । কেশব কুমার অধিকারী এবং ৮। ফরিদ আহমেদ সম্পাদনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা হচ্ছেন- ১। সাব্বির হোসাইন ২। দেব প্রসাদ দেবু ৩। শারমিন আহমেদ ৪। ইরতিশাদ আহমদ এবং ৫। ফরিদ আহমেদ উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন ইরতিশাদ আহমদ এবং সম্পূর্ণ কাজটার সমন্বয়ের দায়িত্ব এবং প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ফরিদ আহমেদ ।
Title
যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বিচার : রায়ের পূর্ণ বিবরণ
প্রগতিশীল লেখক ফরিদ আহমেদ ১৯৬৭ সালের ১লা জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বড় হন। লেখালেখি শুরুর পূর্বে তিনি কিছুকাল শিক্ষকতাও করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে অবস্থিত ‘ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটি’তে এমবিএ করতে চলে যান। উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে এসে অধ্যাপনায় যোগ দেন ফরিদ আহমেদ। প্রাথমিকভাবে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। মুক্তবুদ্ধি চর্চা এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার পাশাপাশি তিনি চমৎকার আবৃত্তিও করতেন। প্রগতিশীল ঘরনার লেখালেখির জন্য প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে দেশত্যাগ করেন। বর্তমানে কানাডায় বসবাস করছেন এবং ‘কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি’তে কাজ করছেন। এর পূর্বে তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ফরিদ আহমেদ এর বইগুলো প্রগতিশীলতার কথা বলে, যুক্তি ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার কথা বলে। তিনি প্রয়াত লেখক অভিজিৎ রায়ের প্রতিষ্ঠিত ‘মুক্তমনা’ ব্লগের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। মুক্তমনা ব্লগের প্রভাব, বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক ভাবনার আবেশ ধারণ করে আছে ফরিদ আহমেদ এর বই সমূহ। ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’, ‘ইলেকট্রা’, ‘বিস্ময়কর নোটবুক’, ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম’, ‘ফরিদ আহমেদের প্রকাশনামা ও হুমায়ূন আহমেদ’ ইত্যাদি হলো ফরিদ আহমেদ এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু নাম। লেখক বর্তমানে মুক্তমনা ব্লগের একজন মডারেটর হিসেবে কাজ করছেন।