আল-কুরআনুল কারীমের হাফেয হতে পারা কোনো মুসলিমের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিশেষ নিয়ামত। দীনী ইলম অর্জনের প্রথম সোপানই মূলত কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শেখা ও হিফয করা। অত্র পুস্তিকায় শ্রদ্ধেয় শায়েখ, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী একজন হাফেযে কুরআনের সাথে সম্পৃক্ত মৌলিক বিষয়গুলো সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন। এতে কুরআন হিফয করার ফযিলত ও হাফেযে কুরআনের মর্যাদা, গুণাবলি, দায়িত্ব-কর্তব্য ইত্যাদি শিরোনামে আলোচনা পরিবেশন করা হয়েছে। প্রথম প্রকাশের পর থেকেই গ্রন্থখানি সুধি পাঠকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বর্তমান সংস্করণে মুহতারাম লেখকের বড় ছেলে মাসঊদুর রহমান নূর এতে কিছু বিষয় যুক্ত করেছেন এবং আদ্যোপান্ত দেখে দিয়েছেন। আশা করি, এবারে বইটি আরো সমৃদ্ধ হলো। আল-কুরআনুল কারীমের হাফেয হতে পারা কোনো মুসলিমের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিশেষ নিয়ামত। দীনী ইলম অর্জনের প্রথম সোপানই মূলত কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শেখা ও হিফয করা। অত্র পুস্তিকায় শ্রদ্ধেয় শায়েখ, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী একজন হাফেযে কুরআনের সাথে সম্পৃক্ত মৌলিক বিষয়গুলো সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন। এতে কুরআন হিফয করার ফযিলত ও হাফেযে কুরআনের মর্যাদা, গুণাবলি, দায়িত্ব-কর্তব্য ইত্যাদি শিরোনামে আলোচনা পরিবেশন করা হয়েছে। প্রথম প্রকাশের পর থেকেই গ্রন্থখানি সুধি পাঠকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বর্তমান সংস্করণে মুহতারাম লেখকের বড় ছেলে মাসঊদুর রহমান নূর এতে কিছু বিষয় যুক্ত করেছেন এবং আদ্যোপান্ত দেখে দিয়েছেন। আশা করি, এবারে বইটি আরো সমৃদ্ধ হলো।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চরসীতা গ্রামের পিত্রালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম হাফেয তরীকুল্লাহ, মাতার নাম শাহজাদী বেগম। একাডেমিক ক্লাসের পাশাপাশি কুরআনুল কারীমের হিফয সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ মাসরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল (হাদীস) কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যথাক্রমে- দ্বিতীয়, প্রথম, প্রথম ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে সৌদি সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর অধ্যয়নের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা মোনাওয়ারায় ভর্তি হন এবং ‘তাফসীর ও উলুমুল কুরআন’ বিভাগ থেকে লিসান্স (অনার্স) ও মাস্টার্স-এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে দেশে ফিরে নরসিংদী’র জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে অদ্যবধি একই মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সৌদি আরবের রিলিজিয়াস এটাচের অধীনে বাংলাদেশে ‘দাঈ’ হিসেবে নিযুক্ত আছেন এবং বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানমালায় আলোচক ও বিচারক হিসেবে অংশ নিয়ে থাকেন। তাঁর রচিত-অনুদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘কুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন’ (অনুবাদ), ‘হে আহলে সুন্নাহর অনুসারীগণ! সতর্কতা গ্রহণ করুন’ (অনুবাদ), ‘সহজ তাওহীদ’ (অনুবাদ), ‘হাফেযে কুরআনের গুণাবলি’, ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা’, ‘ইবাদাতের নামে প্রচলিত কতিপয় বিদ‘আত’, ‘র্শিকের ভয়াবহতা, বিদআত ও উহার মন্দ প্রভাবসমূহ’, ‘একশত দশটি ফযীলত-সহ সূরা কাহফের তাফসীর’ (অনুবাদ, প্রকাশিতব্য)। তার সহধর্মিনীর নাম রোকেয়া বেগম। তিনি তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক।