ফ্ল্যাপে লিখা কথা লোকজ চিকিৎসায় ভেষজ উদ্ভিদ গ্রন্থটি হার্বাল, লোকজ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং তাতে ব্যবহৃত ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে প্রণীত। উদ্ভিদের স্বর্গ বলে বিবেচিত বাংলাদেশ তথা এ উপমহাদেশের অধিবাসীদের চিকিৎসার অন্যতম প্রধান উপাদান ছিলো উদ্ভিদ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই এ অঞ্চলের মানুষ কখনও একক হিসেবে, কখনও বা অনুপানভেদ করে বিভিন্ন রোগলক্ষণে উদ্ভিদ ব্যবহার (হার্বাল ব্যবহার!) করেছে। তারপর একে একে উপস্থিত হয়েছে আয়ূর্বেদ, ইউনানী এবং হোমিওপ্যাথি অর্থাৎ লোকজ চিকিৎসার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে চরক, সুশ্রুত থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত শত শত গ্রন্থ প্রণীত হয়েছে। সে সকল গ্রন্থে এক একটি উদ্ভিদের পরিচয় (সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত), বিভিন্ন রোগলক্ষণে তার ব্যহার, রাসায়নিক উপাদান প্রভৃতি তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। কিন্তু আমার জানা মতে কোন গ্রন্থেই একটি উদ্ভিদ আয়ুর্বেদ, ইউনানী কিংবা হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে কোন রোগলক্ষণে ব্যবহার করছে কিংবা কোন একটি উদ্ভিদ উপরোক্ত তিনটি লোকজ চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন কোন ওষুধে ব্যবহার করছে কিংবা একটি নির্দিষ্ট রোগলক্ষণে আয়ুর্বেদ কোন ভেষজ উদ্ভিদ বা ইউনানী কোন ভেষজ উদ্ধি ব্যবহার করা অনুমোদন করে তার তথ্য উপস্থাপিত হয়নি। লোকজ চিকিৎসায় ভেষজ উদ্ভিদ গ্রন্থে কিছুটা হলেও সে অভাব পূরণ করা হয়েছে। এ গ্রন্থে আয়ুর্বেদ, ইউনানী এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির ইতিহাস, মূলতত্ত্ব, তিনটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ভেষজ উদ্ভিদের পরিচয়, উৎপত্তি, চাষাবাদ সম্ভাব্যতা, গুণ, মিয়াজ, রাসায়নিক উপাদান, ফার্মাকোলজি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, কোন কোন ওষুধে ব্যবহার করা হয়, উল্লেখিত ওষুধগুলোর ক্রিয়াক্ষেত্র এবং কার্যকারিতা, একক উদ্ভিদের ব্যবহার ক্ষেত্র এবং আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহারের আলোকে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে ব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন চিন্তাধারায় উপস্থাপন প্রচেষ্টার কারণে এতে এতদসত্ত্বেও অসম্পূর্ণতা, ত্রুটি থাকতে পারে। ছাত্র, শিক্ষক এবং বোদ্ধা পাঠকদের গঠনমূলক সমালোচনা পুনঃপ্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দিকদর্শন হবে আশা রাখি।
সূচিপত্র * লোকজ চিকিৎসা পদ্ধতির ইতিহাস * লোকজ চিকিৎসা পদ্ধতির মূলতত্ত্ব বা মূলনীতি * ভেষজ উদ্ভিদ * আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানী ওষুধসমূহের কার্যকারিতা/ প্রযাগ ক্ষেত্র