শিল্পকলার নব উজ্জীবিত শাখা আবৃত্তি। আবৃত্তি শিখলে উচ্চারণ শুদ্ধ হয়, বাচনভঙ্গী সুন্দর হয়, কণ্ঠস্বর মিষ্টি হয় ও কথায় আবেগ তৈরি হয়। বাংলাভাষার কথ্যরূপের উৎকর্ষ সাধনের জন্য আবৃত্তি শেখা জরুরি। যারা আবৃত্তি, উচ্চারণ ও সুন্দর বাচনভঙ্গী শিখতে আগ্রহী তাদের জন্য ‘আবৃত্তিচিন্তা’ আকরগ্রন্থ বলে বিবেচিত হবে। আবৃত্তি নিয়ে যে বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড হয়েছে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে তার সন্ধান ও বিবিধ বিবেচনা নাসিম আহমেদ নিজস্ব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে হাজির করেছেন এ গ্রন্থে। যারা আবৃত্তি করতে চান ও জানতে চান এর বিভিন্ন নিয়ােজন প্রক্রিয়া ও উৎসমূল তারা এই গ্রন্থ পড়ে চিন্তা করার সূত্র খুঁজে পাবেন। আবৃত্তি শেখার বিষয়ে নাসিম আহমেদের শিক্ষা পদ্ধতি দেশ-বিদেশে বিপুল প্রশংসিত। তিনি এ বিষয়ের জনপ্রিয় পথিকৃত বলে খ্যাত। তার লেখা এক মহার্ঘ বিষয় বলে বিবেচিত। তিনি এ গ্রন্থে আবৃত্তির প্রায়ােগিক দিক উচ্চারণ এবং আবৃত্তিশিল্প নিয়ে পূর্বপ্রজন্মের বিভিন্ন চিন্তা ও কাজ বিশ্লেষণ করেছেন। আবৃত্তিশিল্পী ও উচ্চারণ নিয়ে চিন্তাশীল যে কোনাে অনুসন্ধিৎসু মানুষের কাছে এই গ্রন্থ অবশ্যপাঠ্য বলে বিবেচিত হবে।
জন্ম ২১ অক্টোবর ১৯৫৮, পিতা: দেওয়ান আবদুল আজিজ আহমেদ, মাতা রাজিয়া বেগম। পৈত্রিক নিবাস মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা। শিক্ষা এমকম (ফাইন্যান্স) এলএলবি, এলএলএম পেশা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী । স্ত্রী অধ্যাপক শায়লা আহমেদ। তিন সন্তান অন্তর, কনিষ্ক, জিবরান । শিল্প-সাহিত্য সাংস্কৃতিক চর্চা করেছেন আশৈশব । আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক । উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিল্পকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ও আবৃত্তি শিল্পের লিটারেচার তৈরি করতে বহু গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে আবৃত্তি শিল্পের ওপর কতগুলাে মৌলিক গ্রন্থ । তিনি একাধারে আবৃত্তি শিল্পী-শিক্ষক-সংগঠক ও আবৃত্তি গবেষক।