শেখ মফিজুর রহমান, পিতা-মরহুম আব্দুল জলিল শেখ, মাতা-মরহুমা আছিয়া বেগম তনু। তিনি পিরােজপুর জেলার, নাজিরপুর উপজেলার, মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের মাহমুদকান্দা গ্রাম (বড়বাড়ি) এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিক্ষানুরাগী মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ শেখ (রাঙামিয়া)র দৌহিত্র । একই বংশে জন্মগ্রহণ করেছেন কিংবদন্তি প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী, অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী। স্কুল জীবন হতেই শেখ মফিজ, রাজনীতি ও লেখালেখির সাথে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারের তালিকাভুক্ত একজন গীতিকার, বাউল সংগঠক, বাউল শিল্পীদের পৃষ্ঠপােষক মূলত তিনি বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী। অন্যদিকে তিনি বাউল কবি, বাউল সাধক, সাদা মনের মানুষ, সুবক্তা এবং উপস্থাপক। তিনি সিলেট বেতার এবং প্রখ্যাত ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজের বহু অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। ১৯৮৯ সালে সাপ্তাহিক পরিবর্তন পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। কর্মজীবনে দৈনিক খবর, রুপালী, জনগণ, সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর, চিত্রবাংলা, ছায়াছন্দ, বর্তমান দিনকাল, মনােরমা, চক্ষুমেলিয়া, অধিকার, বন্ধু, এশিয়া বার্তা এবং অপরাধবিন্দুতে নিয়মিত লিখছেন। ইতােমধ্যে তার বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । জনাব মফিজ- শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার, মাটিভাঙ্গা উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদ, বাউল তরী, লালন-হাছন পাঠাগার, বেলায়েত-লিটু স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বঙ্গবন্ধু যুব সংসদ, বাউল মন, হাছন রাজা ভক্ত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব । বাংলাদেশ যুব পর্যটক ক্লাব, মাটিভাঙ্গায় হাজী আব্দুল গণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরও প্রতিষ্ঠাতা, মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত পদক প্রদান কমিটির অন্যতম সদস্য। বরিশাল বিভাগ সমিতি, পিরােজপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য। লেখক বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা শহর সহ দেশের সকল ট্যুরিস্ট স্পট ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, নেপাল ও ভুটান ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রী নুরুন্নাহার লীনু সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার। লেখক, শেখ নাবিল ও শেখ নিখিল নামের দুই মেধাবি পুত্র সন্তানের গর্বিত জনক ।