১৯৭১-আন্দোলন মুখর উত্তল মার্চ। ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ঐতিহাসিক ঘোষণা। ২৫ মার্চের কালো রাত পেরিয়ে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা। পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতায় রক্তভেজা পূর্ব পাকিস্তানের জমিনে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। পাক-হানাদার অবরুদ্ধ বাংলাদেশ। মাতৃভূমির মুক্তির জন্য দলে দলে ছাত্র যুবকসহ নানা বয়েসী বাংলার ক্ষুব্ধ দামাল মানুষ যোগ দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে। দেশের এই প্রেক্ষাপটে একজন কলেজ ছাত্রের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠা-প্রস্ততি, পথের নানা বাঁধা-বিপত্তি, ভয়কে জয় করে ভারত গমন, যুব শিবিরে অপেক্ষার দু:সহ অবস্থান, শরণার্থীর জীবন দেখা, প্রশিক্ষণ, রণাঙ্গন, চারিপাশের মানুষ, সকল বিষয়ে ঐ সময়ের যাপিত জীবনের প্রতিপাদ্য নিয়ে আত্মকথন। নির্মোহ নিরপেক্ষতা, বাস্তব সততার যথার্থ প্রতিফলনে সমাজ, জীবন, যুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিগত আত্মজীবনের স্মৃতিকথনের মাধ্যমে ৭১ এর ৯ মাসের বাংলার মানুষের দু:সময়ের যাপিত জীবনের সার্বিক চিত্ররূপেরও প্রতিচ্ছবি এই গ্রন্থের গ্রন্থনা। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে যুদ্ধের বাইরের নেপথ্য জীবনের একটা ধারণা দেবে এই গ্রন্থের উপস্থাপনা।
জন্ম ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫৪, নারায়গঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলাধীন বিনাইরচর গ্রামে। পিতা আবুল কাসেম খান, মাতা রহিমা খাতুন। স্থানীয় সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক(সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। ১৯৭৯ সালে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি জীবন শুরু। পরবর্তীতে বিসিএস ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে আডিট এন্ড একাউন্টস সার্ভিসে সহকারী মহা হিসাবরক্ষক পদে যোগদান করেন। প্রতিরক্ষা অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচলাক পদে কর্মরত অবস্থায় ৩০/১২/২০১৪ পিআরএল ২০১৫ সালে অবসর গ্রহণ করে। নিয়মিত চাকুরি থেকে অবসরের পর বিশ্বব্যাঙ্ক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। প্রশিক্ষণ ও সরকারি কার্যোপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। চাকুরি জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ ও সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। বিনাইরচর ইসলামিক সেন্টার কমপ্লেক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ অফিসার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ছিলেন ও আড়াই হাজার উপজেলা চাকুরিজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১-এ ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে রূপালী ব্যাংক লি: এর পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।