“প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভেষজ উদ্ভিদ-১”বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভেষজ উদ্ভিদ গ্রন্থটি হার্বাল, লােকজ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং তাতে ব্যবহৃত ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে প্রণীত।ঔপনিবেশিক শক্তির ষড়যন্ত্র এবং নিষ্পেষণের যাঁতাকলে এ দেশের প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা পদ্ধতিসমূহ প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে এসে দাঁড়িয়েছিলাে। বিগত অর্ধ শতাব্দীর কিছু অবিকল ধরে প্রায় বিলুপ্ত সে চিকিত্সা পদ্ধতিসমূহ এবং সে পদ্ধতিসমূহের প্রাণবহ ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে এ অঞ্চলে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে। গবেষণার এ উন্মুক্ত পরিবেশে নিয়ামক হিসেবে যুক্ত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কর্তৃক লােকজ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি প্রদানের সময়ােপযােগী সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, সমাজ, উপজাতি, সভ্যতা কর্তৃক ব্যবহৃত ভেষজ উদ্ভিদের পরিচিতি ইন্টারনেটের কল্যানে অনুসন্ধিৎসু প্রতিটি ব্যক্তির নিকট আজ উন্মুক্ত। উদ্ভিজ্জ ওষুধ ব্যবহারের পরিধির ক্রমান্বয়িক বৃদ্ধির মাঝে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তথ্যাবলী প্রকাশিত হয়েছে এবং তার সম্ভাব্য কারণসমূহও চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চালানাে হচ্ছে, যেমন ভুল বা বেঠিক প্রজাতির অমনােযােগী ব্যবহার, গােপনে অন্য উদ্ভিদ এবং/অথবা শক্তিশালী কার্যকর দ্রব্যের ভেজাল দেওয়া, বিষাক্ত বা/এবং ঝঞ্জাট সৃষ্টি সক্ষম দ্রব্যের মিশ্রণজনিত দূষণ, অতিমাত্রা অথবা প্রস্তুতকারী বা ওষুধ সরবরাহকারীর অনুপযােগী ব্যবহার এবং অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে অনুপযােগী, নিম্নমানের ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার। বর্তমান এ জটিল সময়ে এদেশে আয়ুর্বেদ, ইউনানী এবং হােমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত দেশী এবং/অথবা বিদেশী ভেষজ উদ্ভিদসমূহের সঠিক পরিচয়, গুণ বা দোষ, রাসায়নিক উপাদান, উদ্ভিদ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা ফলাফল প্রভৃতি একটি সহজলভ্য এবং মাতৃভাষায় প্রকাশের মানসে এ গ্রন্থন। এ গ্রন্থ পাঠে একাধারে আয়ুর্বেদ, ইউনানী এবং হােমিও চিকিৎসক এবং গবেষকবৃন্দ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি অ্যালােপ্যাথিক চিকিৎসকবৃন্দ তাদের ব্যবহৃত ওষুধের মূল উৎসের সন্ধান পাবেন বলে আশা করা যায়। আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এর মধ্যে ভুলত্রুটি থেকে যেতে পারে। ছাত্র, শিক্ষক এবং বােদ্ধা পাঠকদের গঠনমূলক সমালােচনা আশা করছি।