ষোল বছর বয়সে আমি হয়ে উঠি অনিন্দ্য এক সুন্দরী। আমার মুখের গড়ন ছিল নিখুঁত ডিম্বাকৃতির, কপালের দিকটা সরু, নিচে সামান্য প্রশস্ত; আমার চোখ জোড়া ছিল বড়সড়, নম্র চাউনি, হরিণীর মত; আমার নাক সটান নেমে এসেছে কপাল থেকে; আমার মুখখানা সামান্য বড়, টসটসে লাল ওষ্ঠদ্বয়, হাসলে ঝিলিক দেয় ধবধবে সাদা মুক্তোর মসৃণ সারি। মা বলেন আমার চেহারা নাকি ম্যাডোনার মত। ওই সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ফিল্ম তারকার সঙ্গে আমার চেহারার অনেকটা মিল আছে, এ ভাবনা আমাকে রোমাঞ্চিত করে তুলত। আমি ওই অভিনেত্রীর মত করে চুল আঁচড়াতাম। মা বলেন আমার মুখখানা খুব সুন্দর তবে শরীর হাজার গুণ বেশি লোভনীয় বলেন গোটা রোমে নাকি আমার মত ফিগারের একটিতে মেয়ে নেই। তখন শরীর নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাতাম না, ভাবতাম চেহারাটাই আসল; তবে এখন বুঝতে পারি ঠিকই বলতেন মা। তোমার পা জোড়া সুঠাম এবং লম্বা, নিতম্বে রয়েছে চমৎকার বাঁক, সরু কোমর এবং চওড়া কাঁধ। আমার পেটে একফোঁটা মেদ নেই, সুগভীর নাভিমণ্ডল। আমার কথা ভরাট এবং উন্নত। এ জন্য আমাকে বুক ফোলানো বডিস পরার দরকার হয় না। কিন্তু মাকে যখন অনুযোগের সুরে বললাম আমার মনে হচ্ছে আমার বক্ষ জোড়া জামা ছিড়ে বেড়িয়ে আসতে চাইছে, হেসে উঠলেন তিনি। বললেন মেয়েদের বক্ষ-সৌন্দর্যই আসল এবং আমি এ শরীরী সম্পদে ভরপুর বলে তিনি অত্যন্ত খুশি এবং গর্বিত। যোগ করলেন আজাকল ভরাট বুকের মেয়ের খুবই অভাব।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্ম। চার বছর বয়সে বাংলাদেশে আসেন। পেশা : লেখালেখি অসংখ্য গোয়েন্দা উপন্যাস লিখেছেন ও অনুবাদ করেছেন। কর্মজীবনের প্রায় পুরোটাই সেবা প্রকাশনীতে লেখালেখির কাজে ব্যয় করেছেন। দীর্ঘ বহুবছর।