আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে বিদেশ সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিল বিদেশ মানেই টাকা। জমি-টমি বিক্রি করে কোন ভাবে একবার বিদেশ যেতে পারলে জীবনে আর কোন দিন টাকার অভাব হবে না। বিদেশ গেলে মাসে লাক লাক টাকা ইনকাম করা যায়। বিদেশ সম্পর্কে এই ধারণা আজ বদলে গেছে। কাজ না জেনে বিদেশ গেলে, দেশে যেমন বেকার থাকতে হয় তেমনি বিদেশেও বেকার থাকতে হয়। আউটসোর্সিং সম্পর্কেও অনেকের ধারণা আউটসোর্সিং মানেই টাকা। একবার আউটসোর্সিংয়ের খাতায় নাম লেখালে বা কোথাও ২-৩ মাসের কোর্স করলে জীবনে আর টাকার অভাব হবে না। আউটসোর্সিং করে মাসে লাক লাক টাকা ইনকাম করতে পারবে। ধীরে ধীরে মানুষের এই ধারণাও ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। আউটসোর্সিংয়ের খাতায় নাম লেখালে মানে কোন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুললে বা কোথাও ২-৩ মাসের কোর্স করলেই সফল হওয়া যায় না। সফল হওয়ার জন্য দীর্ঘ দিন প্র্যাকটিস করে যেতে হয়। কোথাও ২-৩ মাসের কোর্স করলে কারা সফল হয়? যারা অনেকদিন ধরে আউটসোর্সিংয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু সফল হতে পারছে না তারা কোথাও ২-৩ মাসের কোর্স করলে কাজ শুরু করার মতো অবস্থা হয়। আর যারা একেবারেই নতুন তারা কোথাও ২-৩ মাসের কোর্স করলে ভালো গাইডলাইন পায় কিন্তু সফল হওয়ার জন্য তাদেরকে আরো অনেকদিন নিজে নিজে বাসায় প্র্যাকটিস করে যেতে হয়। -মো. আমিনুর রহমান
সূচিপত্র ১. চাকরি করবেন নাকি ফ্রিল্যান্সিং? ২. কোন কাজটি শিখবেন? ৩. আমার গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের অভিজ্ঞতা ৪. আমার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের অভিজ্ঞতা ৫. আউটসোর্সিং : চক চক করলেই সোনা হয় না ৬. ইল্যান্সের সেরা ফ্রিল্যান্সার ৭. প্রোগ্রামিং কেন শিখতে হবে? ৮. যশোর জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার ৯. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ৪৫ ১০. আউটসোর্সিং ও ট্রেনিং সেন্টার বাণিজ্য ১১. আমি যেভাবে ফ্রিল্যান্সার হলাম ১২. আমার সফল হওয়ার গল্প ১৩. রিস্ক না নিলে সাফল্য আসে না ১৪. আমি যেভাবে শুরু করি ১৫. শুরুটা অনেক বন্ধুর ছিল ১৬. ধৈর্য ধরে শুরু করা
পেশায় ফ্রিল্যান্স ওয়েব প্রোগ্রামার মো. আমিনুর রহমান একজন প্রযুক্তিবিষয়ক লেখক। বাংলায় আউটসোর্সিং বিষয়ে সেরা বইগুলোর অন্যতম দুটিই তাঁর লেখা, যেগুলো তরুণ ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে ইতোমধ্যেই। সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করেছেন মো. আমিনুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়েই লেখালেখি শুরু করেন প্রথম আলোর ‘কম্পিউটার প্রতিদিন’ বিভাগে, যা আজও চালিয়ে যাচ্ছেন। ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামে ডাক্তারদের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময়। এ নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয় প্রতিবেদন। তাঁর তৈরি এই সফটওয়্যার আজও ব্যবহার করেন অনেক ডাক্তার। তাঁর উদ্ভাবনের পোকারা তখনই থেমে যায়নি। চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময়ে এসে আবার তৈরি করেন এসএমএস দিয়ে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার কয়েক মাস পরই মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করা শুরু করে। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও আউটসোর্সের সাথে যুক্ত আমিনুর রহমান। মো. আমিনুর রহমান এর বই সমূহ-তে আউটসোর্সিং এর দিকনির্দেশনার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে সফল ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রেরণাদায়ক সব গল্পও। ২০১২ সালের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে লেখকের বেশ কিছু লেখা প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছিল। পাঠকদের ব্যাপক সাড়া ও অনুরোধে পরবর্তী বছরেই প্রকাশিত হয় মো. আমিনুর রহমান এর বই ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে ও শুরু করার পর’। তারই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের বইমেলায় আসে তাঁর আউটসোর্সিং বিষয়ক সচিত্র ও দ্বিতীয় বই ‘আউটসোর্সিং ২ : কাজ শিখবেন যেভাবে’। মো. আমিনুর রহমান এর বই সমগ্র নতুন প্রজন্মের আউটসোর্সারদের জন্য অনুপ্রেরণা ও গাইডলাইন হিসেবে কাজ করছে।