বই পরিচিতি: কাজু মিয়ার হোটেলে কোণার একটি টেবিলে অপ্সরা বসেছে। স্মৃতিময় টেবিলটির দিকে তাকিয়ে তার চোখ দুটো ছলছল করে উঠল। অপ্সরার মনে হলো, তার বুকের ভেতর কষ্ট, মাথার ভেতর কষ্ট, চোখের ভেতর কষ্ট! টেবিলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে সে কিছুক্ষণ চিন্তাহীন-ভাবনাহীন-অনুভূতিহীন একজন ‘কেউ না’ হিসেবে থাকতে চায়! অপ্সরা চরিত্রটি আসিফ মেহ্দীর এক অনন্যসাধারণ সৃষ্টি। এই চরিত্রের প্রথম বই ‘অপ্সরা’ পড়ে অপ্সরার জন্য কাঁদেননি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কাহিনির জীবনঘনিষ্ঠতা পাঠকের মন জয় করেছে বলেই বইটি ছিল বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। ‘অপ্সরা’ চরিত্রের দ্বিতীয় বই ‘অপ্সরার স্পর্শ’র জন্যও ভালোবাসা!
লেখক পরিচিতি: সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সম্প্রতি লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। সম্প্রতি এনটিভিতে প্রচারিত তাঁর লেখা নাটক ‘অ্যানালগ ভালোবাসা’র বিষয়বস্তুর জীবনঘনিষ্ঠতা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেরো। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।
বইটির উৎসর্গপত্র: মেয়েটির সরলতা, বুদ্ধিমত্তা ও রসবোধের আমি অন্ধভক্ত। কর্মক্লান্ত দিন শেষে যখন বাসায় ফিরি, তখন তার শিশুসুলভ হাস্যোজ্জ্বল মুখ আমার প্রাণটা জুড়িয়ে দেয়! আমার সহধর্মিনী, আমার আত্মার অংশ, আমার অপ্সরা- ডা. মৌবীণা জ্যাকলিন বারি।
ভূমিকা (লেখকের কথা): ‘ঝিরিঝিরি প্রেম’ একসময় হয়েছিল ‘ঝুম প্রেম’। অপ্সরা ভেবেছিল, প্রেমোচ্ছ্বাসে ভেসে যাবে তার বাকিটা জীবন! তার আগেই ‘সাধ’-এর অধ্যায় হলো ‘বাদ’-এর অধ্যায়! একটি শোকাবহ ঘটনা অপ্সরার সারল্যমাখা উচ্ছ্বল জীবনকে নিয়ে হাজির করেছে বাস্তবতা স্পৃষ্ট জীবনপটে। হয়তো সেই যন্ত্রণা আমৃত্যু অমোচনীয় কালির মতো লেপ্টে থাকবে অপ্সরার হৃদয়ের দেয়ালে; তবে তার মন কেন্দ্রীভূত হচ্ছে হঠাৎ ঘটনাবহুল হয়ে ওঠা তার জীবনের প্রতি। অপ্সরা সিরিজের প্রথম বইয়ের নাম ছিল ‘অপ্সরা’। প্রায়ই পাঠকবন্ধুদের কাছ থেকে বার্তা পাই। তারা অপ্সরার যন্ত্রণাময় অবস্থার উপাখ্যান পড়ে কেঁদেছেন। কেউ কেউ মেনে নিতে পারেননি অজির বেদনাদায়ক পরিণতি। অনেকেই অপ্সরার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। রহস্যময়ী এই নারীকে নিয়ে এবারের বই ‘অপ্সরার স্পর্শ’!
সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সাম্প্রতিক সময়ে লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।
এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।