ডিসকোর্স অন মেথড: জ্ঞানের পদ্ধতি বিষয়ে পর্যালোচনা রেনে দেকার্ত
অনুবাদক : ডাঃ পিনাকী ভট্টাচার্য
ডিসকোর্স প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে, যা দেকার্তের জ্ঞান তত্ত্বের প্রথম প্রকাশনা হিসাবে পরিচিত।পর্যবেক্ষণ তথ্য সংগ্রহ এবং উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে জ্ঞানের পথে অভিজ্ঞতাবাদীরা অগ্রসর হন।ডিসকোর্স হচ্ছে দেকার্তের চিন্তার মূলসূত্র এবং পদ্ধতি, যেখানে তিনি জ্ঞানের অনুসন্ধানে তাঁর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন। দেকার্তের এই দরজা দিয়ে সকলে আধুনিক দর্শন জগতে প্রবেশ করে। পাঠককে দেকার্তের চিন্তার সাথে পরিচয় করে দেওয়ার আকাঙ্খা থেকে এই অনুবাদের প্রয়াস। বাংলাদেশে দর্শনশাস্ত্রের চর্চা খুবই কম।তার চেয়েও কম দর্শনের ক্ল্যাসিক গ্রন্থগুলোর অনুবাদ। এই অনুবাদ সেই চাহিদা পূরণে একটা বড় ধাপ।
রেনে দেকার্ত জন্ম : মার্চ ৩১, ১৫৯৬ ; মৃত্যু : ফেব্রুয়ারি ১১, ১৬৫০
ফরাসী দার্শনিক, কার্টেসিয়ান জ্যামিতির জনক। যাঁর কাজ অংকশাস্ত্র এবং দর্শনের আধুনিক ধারার ভিত্তি তৈরী করেছে। গ্যালিলিও-এর সমসাময়িক দার্শনিক রেনে দেকার্ত। তাঁর বিখ্যাত উক্ত “আই থিংক, দেয়ারফোর আই অ্যাম”।
তাঁর বিখ্যাত বই : মেডিটেশন অন ফার্স্ট ফিলোসফি, ১৬৪১ ; দ্য প্রিন্সিপালস অব ফিলোসফি, ১৬৪৪ ; প্যাশনস অব দি সোল, ১৬৪৯ ও রুলস ফর দি ডিরেকশন অব মাইন্ড। রচনা ১৬২৮, প্রকাশ ১৭০১ মৃত্যুর পর।
ডা: পিনাকী ভট্টাচার্য। শিক্ষা চিকিৎসা বিজ্ঞানে, পেশায় ঔষধ কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। প্রগতিশীল, রবীন্দ্রভক্ত, মার্কসীয় দর্শনে উদ্দীপ্ত এক সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন ও রাজশাহী মেডিক্যান কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নাস্তিকতার মার্কসীয় দর্শনের মতো দেকার্ত এর যুক্তিবাদ তাঁকে হয়তো বিশ্বাসী করেনি কিন্তু অনুরক্ত করেছে। এই অনুরাগ থেকেই দেকার্তের ডিসকোর্স অন মেথড অনুবাদ। স্ত্রী নিম্মি ও পুত্র ঋষভ নিয়ে সুখী ব্যক্তিজীবন।
Title
ডিসকোর্স অন মেথড : জ্ঞানের পদ্ধতি বিষয়ে পর্যালোচনা
ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য একজন চিকিৎসক। তার জন্ম ১৯৬৭ সালে। তিনি বগুড়া জেলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামল ভট্টাচার্যের বড় ছেলে। চিকিৎসা বিদ্যায় পড়াশোনা করলেও বর্তমানে তিনি এ পেশায় যুক্ত নন। সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচালনা করছেন একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী। পিনাকী ভট্টাচার্য প্যারিসে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী ব্লগার এবং সোশ্যাল একটিভিস্ট হিসেবেই অধিক পরিচিত এবং সমাদৃত। তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর একজন এডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি। সেখানে তিনি এনভারমেন্টাল টক্সিকোলজি পড়ান। এক সময় বাম রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন পিনাকী ভট্টাচার্য। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ১৮টি গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন । বর্তমানে তিনি একজন জনপ্রিয় অনলাইন একটিভিস্ট। ফেসবুকে তার দুই লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। টুইটারেও তিনি সক্রিয় আছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস, সমাজ, চলমান রাজনীতি, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিপীড়ন এবং বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে মানবাধিকার বিষয়ক তার অনলাইন লেখালেখি তরুণ ছাত্রসমাজ এবং অন্যান্যদের মাঝে সমাদৃত। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযানে সন্দেহভাজনদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। পিনাকী ভট্টাচার্য তীব্রভাবে এই বিচারবহির্ভূত হত্যার সমালোচনা করেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের আহূত কোটা সংস্কার আন্দোলন ও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দাবিতে পিনাকী ভট্টাচার্য ফেইসবুক এবং টুইটারেও ছিলেন সমান সোচ্চার। তার ফেসবুক এবং টুইটার পোস্টগুলোতে তৎকালীন আন্দোলনকারীদের উপর সরকারপন্থি গোষ্ঠীর আক্রমণের কথা স্পষ্ট করে তুলে ধরেন তিনি। পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুক, টুইটার এবং ব্লগের পোস্টগুলোতে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ক্ষমতাশীন সরকারের দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, অপহরণ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার সমালোচনা করে আসছেন। তাঁর পোস্ট এবং টুইটগুলি প্রায়শই বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। অতি সাম্প্রতি তিনি অনলাইনে প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন একাধিকবার। ৫ আগস্ট ২০১৮। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান। শিক্ষার্থীদের নায্য আন্দোলন সমর্থন করায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঠিক সেই সময়ে সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পিনাকীকে ঢাকায় তাদের সদর দপ্তরে ডেকে পাঠায়। কেন তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত তারা কিছু বলেননি। নজির রয়েছে, সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারাবিরুদ্ধমত পোষণকারীদের দপ্তরে যাদের ডেকে পাঠায়, তারা সামরিক গোয়েন্দাদের সাথে দেখা করার পর তাদের অনেককে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে না গিয়ে আত্মগোপনে চলে যান পিনাকী। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একাধিকবার পিনাকীর বাসস্থান এবং অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে খুঁজেছিলেন। এমনকি তারা তাঁর বাসস্থানকে চব্বিশ ঘন্টা নজরদারির মধ্যে রাখেন।আত্মগোপনে থাকাকালীন কর্তৃপক্ষ তার দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।