মি. রাহাত খান। ইমিগ্রেশন অফিসার। ইমিগ্রেশন পরিদর্শক পদে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় দেড় বৎসর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। কর্মজীবনে তিনি অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। সুন্দর আচার-ব্যবহার এবং বুদ্ধিদীপ্ততার জন্য সতীর্থদের মাঝে তার একটা উল্লেখযোগ্য অবস্থান রয়েছে। ২৫ জুন, ২০১৫ খ্রি. রমজানের ১০ তারিখ। রাহাত সাহেব এয়ারপোর্টে কর্মরত রয়েছেন। সেদিন আগমনী টার্মিনালে তার ডিউটি। বিকাল সাড়ে চারটা, মালয়েশিয়া থেকে মালিন্দ এয়ারওয়েজের একটা ফ্লাইট এয়ারপোর্টে অবতরণ করল। ৩৫০ জন যাত্রী। রাহাত সাহেব খেয়াল করলেন, নীল রঙের গেঞ্জি পরিহিত ত্রিশ-চল্লিশ জন লোক ব্যতীত সবাই ইমিগ্রেশন করছে। তিনি আরও দেখলেন যে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সাত-আটজন লোক তাদের সাথে কথা বলছে। তিনি তৎক্ষণাৎ সেখানে গেলেন এবং এই লোকগুলো সম্পর্কে অভিবাসন সংস্থার লোকদের সাথে কথা বললেন। আন্তর্জাতিক অভিবসন সংস্থা তথা আইওএম-এর লোকজন উনাকে জানালেন যে, এরা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোক। দালালের খপ্পরে পড়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এরা সবাই নৌপথে মালয়েশিয়া যাবার জন্য মাছ ধরার ইলারে রওয়ানা হয়েছিল। কিন্তু যেতে পারেনি। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে নিজ দেশে পাঠানো হচ্ছে।