কুড়ি বছর বয়েসে ১৯৮৫ সালে সিলেট বেতারে ‘যে যাহা কররে বান্দা আপনার লাগিয়া’ লিখে নাট্যকারের খাতায় নাম লেখান শাকুর মজিদ। পরের বছর লিখেন দ্বিতীয় বেতার নাটক ‘হিসাব বুঝে পেলাম’। দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৬ সালে লিখেন প্রথম টেলিভিশন নাটক 'লন্ডনী কইন্যা’। ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত নাটক লিখেছেন গোটা দশেক মাত্র। ২০১০ সালে বাউল শাহ আবদুল করিমের জীবন ও দর্শণ নিয়ে মঞ্চের জন্য নাটক লিখেন ‘মহাজনের নাও’। ঢাকার সুবচন, আমেরিকার একতারা এবং সিলেটের নৃত্যশৈলী দেশে বিদেশে এ নাটকটির শতাধিক প্রদর্শণী করেছে। বেতার-টেলিভিশন-মঞ্চ, নাটকের তিনটি শাখাতেই তাঁর সদম্ভ বিচরণ। স্বল্পসংখ্যক নাটক লিখেও নাট্যকার হিসেবে তিনি ব্যাপক আলোচিত। তাঁর নাটকগুলো দর্শক ও সুধীমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ‘লন্ডনী কইন্যা’ নাটকের জন্য একসময় প্রচুর সমালোচিত হয়েছিলেন, মামলাও হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে, পরবর্তি কালে এই নাটকের জন্যই তিনি সমাদৃত হন। নাটকগুলোর জন্য শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ও পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন প্রায় কুড়িটি। শেকড় সন্ধানী এই নাট্যকারের প্রতিটি নাটকেই দেশপ্রেম, মানবপ্রেম এবং লোকজ সংস্কৃতির বিষয়টি ফুটে উঠে। তাঁর লেখা টেলিভিশন নাটকগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করা সাতটি এবং মঞ্চ নাটক নিয়ে এই গ্রন্থ ।
শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি, নেশায় লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা। শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পরে গল্প, নাটক, ভ্রমণ-কাহিনি লিখেছেন অনেক। নাটকের সকল শাখায় তার বিচরণ। কুড়ি বছর বয়সে সিলেট বেতারে তাঁর লেখা নাটক ‘যে যাহা করোরে বান্দা আপনার লাগিয়া’ প্রথম (১৯৮৫) প্রচার হয় । লন্ডনী কইন্যা, নাইওরী, বৈরাতী, করিমুন নেছা, চেরাগসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন-নাটক ও টেলিফিল্মের রচয়িতা তিনি। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে তিনশতাধিক প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছেন। দেশ ভ্রমণ তার একটি বড় নেশা। ত্রিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২, বেশীরভাগই ভ্রমণকাহিনি, স্মৃতিচারণ ও আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।