শমশের আলী হেলাল ঢাকার আজিমপুর কলোনিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। কানাডা প্রবাসী এ লেখক আটত্রিশ বছরের প্রবাস জীবনে ইউরোপের সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, রাশিয়া, ইটালি, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, যুগোস্লাবিয়া, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, এশিয়ার সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দুবাই এবং আমেরিকার নানা শহরে ঘুরেছেন। দেশ-দেশান্তরে নানা জাতি ও ধর্মের মানুষের সাথে মেশার সুয়োগ পেয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ জীবনের অভিজ্ঞতাকে লিখিত রূপ দিয়েছেন এ সূচিপত্রের মধ্য দিয়েÑএইদেশ, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমার আমি, চলতে চলতে দেখতে দেখতে, মুসলমান থেকে মুসলিম, শুরু হল নতুন পথচলা, লাশ হেলাল, এই দেশে পথে পথে, যাহা বলিব সত্য বলিব- একটি অনুপ্রেরণা, আমার কিছু কথা, আমাদের শান্তি আমাদের পরিবার, বিদায় জানাও একাকিত্বকে, তুমি আমি আমরা, আমাদের শান্তিময় পৃথিবী, stop সাইন, The Next page, বন্ধু, তোমাকে কিছু বলতে চাই, এসো দেয়াল ভেঙে সেতু গড়ি, একটাই আবেদন, স্মৃতিময় এ্যালবাম থেকে। লেখক শমশের আলী হেলাল ‘এই দেশ ও একজন পথিক’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন- ‘এক সময় আমি নামে মুসলমান ছিলাম। কোরআন পড়ে আমি মুসলিম হয়েছি। কোরআন আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে জীবনকে প্রকৃতভাবে উপভোগ করতে হয়। কোরআনের প্রকৃত শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া একজন মুসলিমের পবিত্র দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্ববোধ থেকে বিগত ত্রিশ বছর যাবত দেশে-বিদেশে, পথে-প্রান্তরে মানুষের কাছে কোরআন আমাকে যা শিখিয়েছে তাই বলে যেতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই চেষ্টার ক্ষুদ্র প্রয়াস এইদেশ ও একজন পথিক।’ ধর্ম নিয়ে রয়েছে অনেক কুসংস্কার, নানা মতভেদ, বিরোধ। নানা ব্যাখ্যা ও অপব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে সঠিক জ্ঞান তথ্য পেতে গেলে সঠিক বই পাওয়াটি খুবই কঠিন। এ বইটি পাঠ করলে বোধ, চিন্তা ও ভাবনার নতুন মাত্রা যোগাবে।
শমশের আলী হেলাল। ঢাকার আজিমপুর কলোনিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। পৈত্রিক বাড়ি পাবনা জেলার সদর থানার কুলাদী গ্রামে । বর্তমানে তিনি কানাডা প্রবাসী । আটত্রিশ বছরের প্রবাস জীবনে ইউরোপের সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, রাশিয়া, ইটালি, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, যুগোস্লাভিয়া, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, এশিয়ার সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দুবাই এবং আমেরিকার নানা শহরে ঘুরেছেন। দেশ-দেশান্তরে নানা জাতি ও ধর্মের মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। দেশে-দেশে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভিন্নতা, তার চিন্তা চেতনায় মানুষ ও মানবতার জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে । এদেশের রাজনীতির প্রাণপুরুষ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে যেমন কাছ থেকে দেখেছেন, তেমনি আহমেদ দিদাত, ড. মরিস বুকাইলি, ড. কিথ এল মূর, ড. জাকির নায়েক, গ্যারি মিলার, ব্রাদার আব্দুল হাকিমসহ ইসলামের জন্য নিবেদিত অনেক দায়িদের সাথে একত্রে দাওয়াতি কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। ইসলামের সুমহান বাণী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশ-দেশান্তরে যেমন ভ্রমণ করে চলেছেন, তেমনি বিগত দুই যুগের অধিক সময় যাবৎ এ দেশের তরুণ সমাজের সাথে ভাই ও বন্ধুর মতো মিলে-মিশে ব্যক্তি জীবনে ইসলামের প্রতিফলন করার জন্য অনুপ্রাণিত করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানে জীবন নিয়ে নিজের চিন্তা চেতনা বিনিময় করে চলেছেন। ২০০১ সাল থেকে এটিএন বাংলায় এবং বর্তমানে আরটিভিসহ কয়েকটি ইলেকট্রিক মিডিয়ায় জীবন ঘনিষ্ঠ নানা অনুষ্ঠান করছেন। ২০০০ সনে শমসের আলী হেলাল, অন্টারিও কানাডার মর্যাদাপূর্ণ অন্টারিও ভলেন্টিয়ার এওয়ার্ড পান । বিগত ২৭ বছর লাশ ধোয়ানো এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নানা কাজে অংশগ্রহণের জন্য সমাজ সেবায় স্বীকৃতিস্বরূপ প্রিমিয়ার অব অন্টারিও এবং মিনিস্টার অব সিটিজেনশিপ এর পক্ষ থেকে এওয়ার্ডটি প্রদান করা হয়। তরুণদের মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগে অনুপ্রাণিত করতে এইদেশ নামক একটি সংগঠনের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাঁর এসব কার্যক্রম পথ হারানো যুব সমাজ এবং অবহেলিত মানুষের আশার বাতিঘর হিসেবে অনুপ্রেরণা যোগায় ।