কবির কথা কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে স্বরূপ, অনুভূতির দোলাচলে কিছু কবিতা লেখা হয়েছিল, যেগুলাে সংকলন করে কবিতার বই আকারে প্রকাশ লাভ করেছে। জীবন চলার পথে এত দিন ভাবিনি কোনাে দিন কবিতা লিখব, কবি হব। কর্মস্থলের বিভিন্ন পরিবেশে অবস্থানকালীন সময়ে অনুভূতির কথাগুলাে কবিতা আকারে লিখে রেখেছিলাম, যার সংকলিত প্রয়াসই এই কবিতার বই প্রকাশের উৎস। নিজের ভাবধারাগুলাে। অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আকাঙ্ক্ষাও এতে কাজ করেছে, উৎসাহ জুগিয়েছে। বিভিন্ন সময়কালে এসব কবিতা লেখা । এ সময় অবচেতন মনে কথামালাগুলাে কবিতা আকারে প্রকাশ অভিব্যক্তিগুলােই আমার কবিতার মূল উপজীব্য। এখন অবসর জীবনে প্রচুর সময় হাতে । | লিখতে বসি আবারও কিছু। ফেলে আসা দিনগুলাের স্মৃতি আর চলমান জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত নতুন করে উপলব্ধি করার বিভাসে আবারও যেন কবিতার কণ্ঠ উজ্জীবিত হয়েছে বুঝতে পারি। এমনই এক সময়ে লেখা কবিতাগুলাে পাঠকের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছি। কবিতাগুলাে হয়তাে কালের সাথে তাল মিলিয়ে চলার পথে তেমন উপযুক্ত নয়, কিংবা হয়তাে এর কোনাে কাব্যিকমূল্য তেমন। নেই, তবুও মনের কথা ব্যক্ত করতে যে লেখনী আমি হাতে তুলে। নিয়েছিলাম তা কেবলই আমার মনের এলােমেলাে চিন্তারই ফসল। এতে কারাে মনের খােরাক না জোগাক, আমি তাে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারলাম, এটাই সান্ত্বনা । আমরা জানি, প্রকাশই কবিত্ব। মনের কথাগুলাে প্রকাশ করার ভাষায় সকলের বােধগম্য আকারে প্রকাশ করতে পারাই কবিত্ব। তাই কবিতার আকারে কথাগুলাে বলার চেষ্টা করেছি।
ড. প্রভাস চন্দ্র রায় পঞ্চগড়ের বাসিন্দা। তিনি নিজ গ্রামের মির্জাপুর হাইস্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি, দিনাজপুর গভর্ণমেন্ট কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে ১৯৭৬ সালে তিনি পশুপালন অনুষদ অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ঐ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পশু প্রজনন ও কৌলি বিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৭৭ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তৎকালীন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে ঠাঁই হয়নি তার। তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ‘এসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার ফার্ম ম্যানেজমেন্ট’ পদে প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘ইনষ্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এ কৃষি অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ২০০৮ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। চেয়ারম্যান : ‘ড. প্রভাস চন্দ্র রায় সোসাল ফাউন্ডেশন’, পঞ্চগড়; ভাইস প্রেসিডেন্ট : বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা; নির্বাহী সদস্য : বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপলস্ ফোরাম ত্রিদেশীয় কেন্দ্রিয় কমিটি; প্রেসিডিয়াম সদস্য : বিশ্ব ইতিহাস গবেষণা একাডেমি, কেন্দ্রিয় কমিটি, ঢাকা; ট্রাস্টি মেম্বার : বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ (বি.এফ.ডি.আর), ঢাকা; প্রেসিডেন্ট : ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, ঢাকা; ফেলো মেম্বার : ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট কনসাল্ট্যান্টস, বাংলাদেশ (আই.এম.সি.বি); প্রেসিডেন্ট : বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, কেন্দ্রিয় কমিটি, ঢাকা; প্রেসিডেন্ট: বাংলাদেশ জাতীয় কিক্-বক্সিং এসোসিয়েশন, পঞ্চগড় জেলা শাখা; প্রতিষ্ঠাতা : বঙ্গবন্ধু ডাঙ্গীরহাট আদর্শ মহাবিদ্যালয়, পঞ্চগড়। পদক প্রাপ্তি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্বর্ণ পদক- ২০১২, মহাত্মা গান্ধী গোল্ড মেডেল- ২০১২। প্রকাশিত বই: ‘শেয়ার ব্যবসাঃ টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ, ‘এলোমেলো পংক্তিমালা,’ (কাব্যগ্রন্থ), ‘তুমি ফিরে আসবে একদিন,’ (কাব্যগ্রন্থ) ‘তুমি সেই,’ (কাব্যগ্রন্থ), ‘ছোটদের ছোটগল্প,’। ড. প্রভাস চন্দ্র রায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর থেকে দেশ ও জনগণের সেবার পথ হিসেবে সরাসরি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও জন মানুষের মুক্তির পথ হিসেবে তিনি এই রাজনীতিকে বেছে নিয়েছেন। জনগণের দল হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই দেশ ও জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি কনসালট্যান্সি কাজ করে থাকেন। তিনি জাইকা-এর একটি সার্ভে টিমের কনসালট্যান্ট (এগ্রিকালচারাল স্পেশালিষ্ট, এগ্রি বিজিনেস ফিন্যান্স) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।