অপেক্ষার একদিন (হার্ডকভার)

ভুঁড়িটা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে খুব বিশ্রী কায়দায়। আয়নায় নিজেকে দেখলে মাঝে মাঝে মা'র পুরনো টেপ খাওয়া ডিস্কো পাতিলগুলোর কথা মনে পড়ে। নিজের কেবিনে বসে পুরো অফিসের আবহাওয়া বোঝার চেষ্টা করল শুভ। অফিস মোটামুটি ফাঁকা। আমারও উঠা উচিত! বৃষ্টি থেমেছে কিনা কে জানে! বিকালের পর থেকে ইলেকট্রিসিটি বার বার যাওয়া-আসা করছে। আজ দিনটা শুভর ভালো যাচ্ছে না। সকাল থেকে কোনো কাজ সহজভাবে হচ্ছে না।
সব কিছুতে ভেজাল মার্কা ফ্লেভারটা উঁই পোকার মতো ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত। লাইটারটা দুপুর থেকে গায়েব। সিগারেট ধরাতে বার বার উঠে তাকে যেতে হচ্ছে কিচেনে। ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। শুভ কেবিন ছেড়ে রান্নাঘরের দিকে রওনা হলো। সিগারে এক টান দিয়ে নিভিয়ে দিল সে। মুখটা কেমন বিস্বাদ ঠেকছে আজ। ইলেকট্রিসিটি না থাকায় চারিদিক কী বিশ্রি অন্ধকার। অন্ধকার শুভকে টানে না। শুভ মুগ্ধ হয় দিনের ঝকঝকে রোদ আর শেন্দেলিয়ার ঝলমলে আলোর উজ্জ্বলতায়।