বই পরিচিতি: সত্তর বছর পরের ঘটনা। হ্যালুসিনেশনের জন্য দায়ী জিনকে সনাক্ত করা গেছে। নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যালু-জিন’। হ্যালু-জিন পাল্টে দিয়েছে মানুষের চিন্তার জগৎ ও অনুভবের দুনিয়া! জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে মানুষ এমনভাবে পৃথিবীতে আসছে যেন তারা মুহুর্মুহু পছন্দসই হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত হতে পারে! ফলে মানুষের চিন্তায় ও অনুভবে ঘটছে অদ্ভুতুড়ে সব ঘটনা! সেসব নিয়েই কল্পগল্প ‘হ্যালু-জিন’। এমন আটটি সাই-ফাই গল্পের সংকলন এই বই। বইটি আকর্ষণীয় বর্ণনাশৈলীতে আপনাদের সামনে উন্মুক্ত করবে কল্পনার অবারিত প্রান্তর!
লেখক পরিচিতি: সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়।
সম্প্রতি লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। সম্প্রতি এনটিভিতে প্রচারিত তাঁর লেখা নাটক ‘অ্যানালগ ভালোবাসা’র বিষয়বস্তুর জীবনঘনিষ্ঠতা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেরো। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।
আসিফ মেহ্দীর বইগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন তাঁর ওয়েবসাইটে (www.asifmehdi.com)
বইটির উৎসর্গপত্র: মাঝে মাঝে ঝটিকা সফরে ময়মনসিংহে যাই। সেখানে একজন তাঁর শত ব্যস্ততার মধ্যেও সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গ দেন। ঘুরে দেখান প্রকৃতি ও শহর। আমার এবং জ্যাকলিনের একটার পর একটা ছবি তোলার আবদার রক্ষা করেন! তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়-এর একসময়ের সফল ভাইস চ্যান্সেলর, বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি প্যাথলজির প্রফেসর। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি আমার সহধর্মিনীর বাবা। প্রফেসর ড. আবুসালেহ মাহফুজুল বারি।
ভূমিকা (লেখকের কথা): ক্লাসেই পড়া হোক আর ফিকশনেই ভরা হোক, কেন যেন ‘সায়েন্স’ ধরা দেয় কঠিন চেহারায়! সায়েন্স ফিকশনে পাই কাঠখোট্টা এলিয়েন, যাদের চরিত্রে নরম-গরমের অনুভূতি নেই। তাই চেষ্টা করেছি, রসহীন এসব কল্পগল্পে রম্যের ডোজ দিতে! কতটুকু পেরেছি, তা পাঠকবন্ধুরাই বলতে পারবেন। যে রাঁধে, তার কাছে নিজের রান্না করা খাবারই সবচেয়ে সুস্বাদু! তেমনি যেকোনো লেখকের কাছে তার নিজের লেখাই সবচেয়ে আকর্ষণীয়! তবে লেখার সত্যিকারের সার্থকতা-পাঠকের মন জয়ে। আমি এই বইয়ের কল্পগল্পগুলো লিখেছি আনন্দিত মনে। এগুলো আপনাদের চিত্ত জয় করতে পারলে তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে।
সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সাম্প্রতিক সময়ে লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।
এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।