"দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পোপার" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: একই দিনে দুটি শিশুর জন্ম। এক জনের নাম এডওয়ার্ড টুডোর, জন্ম রাজপরিবারে। আরেক জন টম ক্যান্টি। ভিখারির ঘরে জন্ম হলেও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন তার। একসময় ভাগ্য তাকে রাজার বাড়িতে নিয়ে এডওয়ার্ডের জায়গায় বসিয়ে দেয়। শুরু হয় এক অন্য জীবন। যেখানে টমের রাজকুমারসুলভ তৎপরতায় মুগ্ধ সবাই। সোনার টেবিলে খায়, সোনার পালঙ্কে ঘুমায়। বিপরীতে ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পড়ে রাজকুমার এডওয়ার্ড। নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে সবার কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয় সে। লোকজনের বিদ্রূপ, মারধর, অনাহারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এডওয়ার্ড। দেখা মেলে টমের বাবা জন ক্যান্টির। সেখানেও এক নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতার মুখে পড়ে সে। চারপাশ যখন তিক্ততায় ভরে উঠেছে তখন সে এক বন্ধুর দেখা পায়। মাইলস হ্যানডন। কিন্তু এ বন্ধুর সঙ্গ তার জন্য স্থির থাকে না। জন ক্যান্টির হাত থেকে পালাতে গিয়ে মাইলসের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এডওয়ার্ড। এক বৃদ্ধ পাগল যাজকের পাল্লায় পড়ে। রাজার ওপর প্রতিশোধ নিতে এডওয়ার্ডকে খুন করতে চান যাজক। হাত-পা বেঁধে রাখা এডওয়ার্ড পালাবে কী করে? সে কি আর কখনো রাজপ্রাসাদে ফিরতে পারবে? বাবা আর নেই। সিংহাসন এখন তার। কিন্তু সেখানে বসার সুযোগ কি মিলবে তার?
মার্ক টোয়েন জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৮৩৫, আমেরিকার মিসৌরিতে | আসল নাম স্যামুয়েল ল্যাংহর্ন ক্লিমেন্স। বিশ্বব্যাপী মার্ক টোয়েন নামে পরিচিত। ১২ বছর বয়সে বাবা মারা যান। জীবিকা অর্জনের জন্য তাঁকে বেরিয়ে পড়তে হয়। আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। বড় হয়েছেন মিসিসিপি নদীর তীরে, এই নদীতে স্টিমবােটের পাইলট ছিলেন। অংশ নেন আমেরিকার গৃহযুদ্ধে। যুদ্ধের পর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। টম সয়ীর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিহিত হয় ক্ল্যাসিক হিসেবে। এর পরের খণ্ড দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন। মৃত্যু ১৯১০।