শহীদুল জহির মাত্র তিনটি গল্পগ্রন্থ ও চারটি উপন্যাস লিখেই বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন অর্জন করেছেন। তাঁর গল্প ও উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটক। অথচ এর কোনো কিছুতেই তাঁর আগ্রহ ছিল না। প্রথাবিরোধী, ব্যতিক্রমধর্মী কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহির-এর জীবনকাল মাত্র ৫৪ বৎসর। তরুণ পাঠকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া উত্তর-আধুনিক ধারার কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহির স্মরণে এ গ্রন্থটি সংকলন করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে প্রথম লেখা গল্প থেকে আরম্ভ করে আবু ইব্রাহীমের মৃত্যূ (২০০৯) পর্যন্ত খননে-বুননে নতুন গতিপথ তিনি আবিষ্কার করে বসলেন। একঝাঁক সাহিত্যিক, লেখক ও প্রাবন্ধিকের স্বতঃস্ফূর্ত মূল্যায়নে জহিরের সাহিত্যকর্ম, যাপিত জীবন সম্পর্কে নির্মোহ মূল্যায়ন উপস্থাপিত হয়েছে। স্মারকগ্রন্থে জহিরের ডায়েরি এবং চিঠিপত্রের কিছু অংশ সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা করেছেন তাঁর স্মৃতিচারণ। অ্যালবাম অংশে শহীদুল জহিরের দুর্লভ ছবি সংযোজিত হয়েছে। স্মারকগ্রন্থটিকে একটি পূর্ণাঙ্গরূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে।
লেখক পরিচিতি
শহীদুল জহিরের জম্ম ঢাকায় নারিন্দার ভূতের গলিতে। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন ডি.সি-র দি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি এবং কিছুদিন বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেন। পেশায় তিনি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।
তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : পারাপার (১৯৮৫) জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা (ফাল্গুন ১৩৯৪) সে রাতে পূর্ণিমা ছিল (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫) ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (১৯৯৯) মুখের দিকে দেখি (২০০৬) আবু ইব্রাহীমের মৃত্যূ (২০০৯) ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪) শহীদুল জহির নির্বাচিত উপন্যাস (২০০৭) শহীদুল জহির নির্বাচিত গল্প (২০০৬)
তিনি জীবদ্দশায় আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, আজকের কাগজ সাহিত্য পুরস্কার এবং প্রথম আলো বর্ষ সেরা সাহিত্য পুরস্কার (মরণোত্তর) অর্জন করেছেন।