"রাকিবের মৃত্যু" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: রাকিবের আত্মা অনেক কষ্ট, দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল । রাকিব বাঁচতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল আবার স্কুলে ফিরে যেতে । সঙ্গীদের সাথে আবার খেলাধুলা করতে । গড়ে তুলতে চেয়েছিল, নিজের পরিশ্রমে একটি মােটর গ্যারেজ। কিছুই সে পারেনি । তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হয়েছে। কারণ সে অপরাধ করেছিল একজন মালিকের কাজ ছেড়ে আর একজন মালিকের কাছে কাজ নিয়েছিল । রাকিব ছাড়া এই সমাজের সব কিছুই একইভাবে চলবে। সবাই ভুলে যাবে রাকিবের কথা। ভুলবে না শুধুমাত্র একজন, সে হচ্ছে রাকিবের মা, লাকি বেগম । আমৃত্যু সে আহাজারি, আর্তনাদ করবে, দীর্ঘশ্বাস ছাড়বে বাতাসে । যে বাতাস প্রতিক্ষণে-ক্ষণে নিশ্বাসে টেনে নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা এবং বেঁচে থাকবে পরবর্তী প্রজন্ম । বাতাসে নাকি শব্দ কখনাে হারিয়ে যায় না। রাকিবের মায়ের সন্তানহারা আহাজারি ছড়িয়ে গেছে বাতাসে। এভাবে ছড়াবে হয়তাে আরও কত মায়ের আহাজারি । আমরা যদি এই লজ্জাকর, কলঙ্কযুক্ত কাহিনী লিখে রেখে যেতে নাও পারি । আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাতাস থেকে খুঁজে নেবে আমাদের এই লজ্জাকর, কলঙ্কযুক্ত সামাজিক কার্যকলাপ, হয়তাে-বা হাজার বছর পরেও । তখন তারা আমাদের সম্পর্কে কী ভাববে?