"মহানবী হযরত মুহাম্মদ : সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" বইটির প্রথম অংশের লেখাঃ আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবদেশের মক্কানগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তখন ঐ দেশটির নাম ছিল “জাযিরাতুল আরব"। এখন যে দেশটিকে আমরা সৌদিআরব বলি। তখন এ দেশটিরই নাম ছিল ‘জাযিরাতুল আরব’ বা আরব উপদ্বীপ। সারা আরব দেশটাই মরুভূমি আর পাহাড়-পর্বতে ভরা। প্রাচীনকালে আরবদেশে উট ও ঘােড়ায় চড়ে মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাফেরা করত। ব্যবসা-বাণিজ্য করত। আজ যেমন সৌদিআরবে অসংখ্য মােটরযান চলছে, হেলিকপ্টার উড়ছে। অগণিত জেট প্লেন এসে নামছে এয়ারপাের্টে, তখন এসবের কিছুই ছিল না। শুধু সারি সারি উটের কাফেলা এক শহর থেকে অন্য শহরে মানুষজন ও মালপত্র নিয়ে ধীরে ধীরে চলত। আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগের পৃথিবীর সব জায়গার চেহারাটাই ছিল অন্যরকম। তবু পৃথিবীর সভ্য মানুষেরা একে অন্যের খোঁজ-খবর রাখত। কিন্তু আরবের মানুষেরা এমনি এক পিছিয়ে পড়া জাতি ছিল যে তাদের কেউ চিনত না, খোঁজ-খবর রাখত না। আর আরবরাও নিজেদের গােত্রের লােকজন ছাড়া পৃথিবীর সভ্য জাতিগুলাের সাথে মেলামেশার গরজ দেখাত না। তারা নিজেদের ভেতর নিজেদের নিয়েই খুশি থাকত। বিশ্বগােলকের পূর্বদিকে পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে আরবদেশটির অবস্থান । এর পশ্চিমে লােহিত সাগর ভূমধ্যসাগর। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর ও আরবসাগর। উত্তর দিকে সিরিয়ার মরুভূমি। আর পূর্বদিকে পারস্য উপসাগর.....
Title
মহানবী হযরত মুহাম্মদ : সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন আল মাহমুদের কবিতার বই পড়েননি এমন সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। গুণী এই কবি একাধারে একজন সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার কবি পরিচয়। আধুনিক বাংলা কবিতা নানা দিক থেকে তার কাছে ঋণী থাকবে। বাচনভঙ্গি আর রচনাশৈলীতে তার কবিতা সমকালীন যেকোনো কবির তুলনায় অনন্য। ‘কবিতাসমগ্র’ (দুই খন্ড) ‘উড়ালকাব্য’, ‘সোনালি কাবিন’, ‘আল মাহমুদের স্বাধীনতার কবিতা’, ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’, ‘আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ইত্যাদি কবিতার বই নিয়ে আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র। এছাড়াও আল মাহমুদ উপন্যাস সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে তিন খণ্ডে। জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক টানাপোড়েন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও প্রেক্ষাপটসহ সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব স্থান পেয়েছে আল মাহমুদ এর বই সমূহ-তে। ‘কালের কলম’, ‘লোক লোকান্তর’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’, ‘গল্প সমগ্র’, ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য লেখা। আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। শিক্ষাজীবনেই তিনি লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল আর মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করতে করতে নিজের কবি প্রতিভা আবিষ্কার করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। কিছুকাল পরই এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পুরো ৬০-এর দশক জুড়ে তিনি অসংখ্য কবিতা রচনা করেন এবং কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পত্রিকায় সরকার বিরোধী লেখালেখির কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় তাকে। ১৯৭৫-৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে কাজ করে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য রচনাশৈলীর জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘একুশে পদক’, ‘জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’, ‘নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক’ সহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।