রূপালি ডায়েরি (হার্ডকভার)

বাবার জন্ম সালটা দাদা দাদি কেউ লিখে রাখেনি বিধায়, আসল জন্মতারিখটা কারো জানা নেই। বাবা ছিলেন দাদা দাদির ছয় সন্তানের মাঝে প্রথমজন। জন্ম ১৯৪৯ সালে। মৃত্যু ৮ ডিসেম্বর ২০০৭। জন্ম এবং ছেলেবেলা কাটে জামালপুর জেলার গোরারকান্দা নামক ছোট্ট একটি ছিমছাম গ্রামে। সেখানকার প্রাইমারি স্কুল ও কলেজে পড়া শেষ করে, গণিতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন ময়মনসিংহ শহরে বিখ্যাত আনন্দমোহন ইউনিভার্সিটি থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে এবার গ্রামে ফিরে এসে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৭৩ সালে। সেখানে তিন থেকে চার বছর শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে নতুন একটি স্কুলে চাকরি সুযোগ পেয়ে ঢাকা চলে আসেন। পুরান ঢাকা সংলগ্ন টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত গ্র্যাজুয়েটস হাই স্কুলে দীর্ঘ ২৫ বছর শিক্ষকতা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক পদে নিযুক্ত ছিলেন। বাবা কবিতা লিখতে ও গান শুনতে পছন্দ করতেন। মাঝে মাঝে গুণগুণ করে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, জগন্ময়মিত্র এদের গান গাইতেন। তার দৈনন্দিন লিখে রাখা কিছু কবিতার সন্ধান পাওয়া যায় তার রূপালি ডায়েরিতে। যখন যেভাবে পেরেছেন ছন্দ দিয়ে নিজের ভাব প্রকাশ করতে চেয়েছেন। একঘেয়েমি জীবন থেকে নিজেকে বের করে এনে কিছুটা বাড়তি প্রাণযুক্ত করাই তার কবিতা লেখার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল। বাবার রেখে যাওয়া কিছুটা অগোছাল সৃষ্টিশীল লেখাগুলোকে গুছিয়ে নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। বাবার পুরাতন কিছু আবেগ, নতুনরূপে এই রূপালি ডায়েরিতে।