ডি-মিটার বলছে টার্বো-১ এবং টার্বো-২ বিপদজনকভাবে একটি অন্যটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্পেসিম্যাগনেটিক ফোর্স যে মাত্রায় কাজ করার কথা সে মাত্রায় করছেনা। তিন ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে গবেষণা চলছে কিন্তু কারণটা নির্ণয় করা যাচ্ছে না। মেইন কম্পিউটার চিহি কপালে ভাঁজ ফেলে কন্ট্রোল ডিভাইসের বাটন টেপাটেপি করছে। মাঝে মাঝে ডানে বামে নাড়াচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা বরং আঙ্গুল ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। লুমিয়া আর রিকোর এনগেজমেন্ট হলাে। লুমিয়া বললাে, মহাশূন্য থেকে একরাশ ভালবাসা নিয়ে আসবে ও রিকোর জন্য, যে ভালাবাসা এক জীবনে ফুরােবেনা। মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্রের প্রখর মেধাবী পদার্থবিদ ড. এরিকের নেতৃত্বে মহাশূন্যে পাড়ি জমালাে ছােট্ট একটা দল। কিছুক্ষণ সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ মহাকাশে ওরা মুখােমুখি হলাে মহাবিপদের। টার্বো-২ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল টার্বো-১ থেকে। দানবীয় আবেশী ক্ষমতায় টার্বো-২ কে ‘লেসার বল’ দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হলাে সুপার প্লানেট ‘অ্যানােভায়’। টার্বো-২ কে ছিনতাই করে অ্যানােভার অধিবাসীরা খবর পাঠালাে পৃথিবীকে অ্যানােভার কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে হবে। বলুন এটা কি সম্ভব ! এমন অদ্ভুত দাবী কি মেনে নেয়া যায় ?