স্বপ্নের জায়গা পায় জাকারিয়া। যেখানে ভাষা আন্দোলনের স্লোগান দিয়েছিল। ছোটবেলায় ফুপুর মুখে শুনেছে প্রভাত ফেরি, শহীদ মিনারের কথা। সালাম, বরকত আরো কত শহীদের কথা। সেগুলো মনে হতো ইতিহাস বয়ে আসা কথা, গল্প ও ঘটনা। কোথায় বলেছিল সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের বাণী? এক রাখাল বাঙালির মনের কথা। সেখানে সংগ্রাম, ভালোবাসা ও আবেগের উড়া মেঘের ডাক ছিল। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লাখো মানুষের মুখের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল এই কলাভবন থেকে। লর্ড কার্জনের কার্জন হল, ভাষা শহীদদের শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মঞ্চ সবই ছিল বইয়ের পাতায় দেখা। সেই বইয়ের পাতার স্মৃতি মায়ের আঙিনার সুবাস নিয়ে মনের পাতায় চোখের পাতায় ও সারা শরীরের অঙ্গ-ভঙ্গিতে দেখা যায়। এই তো সেই জায়গা যেখানে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উড়েছিল। ছোটবোন ভাইদের বইয়ের পাতা থেকে নিজের পাতায় নিয়ে আসবে। এইসব গর্বের সাথে বলা অহংকার হবে না। জাকারিয়া অপলক দৃষ্টিতে দেখছে বটতলার আসরটা। সেই ফুপুর আঁচল ধরে অবলা ছেলের মতো শোনা প্রেমের গান। এখানে মহাসুখে আশ্রয় নিয়েছে। এবার সেই গানের মানুষ জুটবেই। শুধু কি সেই গানের ও স্বপ্নের। তার থেকে আরো উপরে ভাবলে সুখের অন্ত পাওয়া যায় না। সেই যে গান, "আশি তোলায় সের হইলে চল্লিশ সেরে মন, মনে মনে এক না হলে মিলবে না ওজোন',