‘প্রেমহীন গল্প’ গ্রন্থটি মূলত চারটি গল্প নিয়ে একটি গল্পগুচ্ছ। প্রথম গল্পটির নাম। ‘জীবন বাজি’। অত্যন্ত রােমাঞ্চকর, ঝুঁকিপূর্ণ ও দুঃসাহসিক ঘটনা- এক অর্থে সমাজে ঘটে চলা অবক্ষয়ের একটি রূপ গল্পটিতে ফুটে উঠেছে। মূল চরিত্রের। পৃতম একজন শখের ফুটবল খেলােয়াড়। খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়ে পালাতে গিয়ে অজান্তেই এক গণিকালয়ে ঢুকে পড়েছে। সেখানে এক অসহায় মেয়ের সন্ধান পায়, যাকে তার প্রেমিক বিক্রি করে দিয়েছে। পরবর্তীকালে কয়েকজন বন্ধু মিলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়, যদিও স্থানবিশেষে বাস্তবতা আরাে কঠিন, তবুও ব্যতিক্রমও হয়। সেখানে তাদের প্রচেষ্টার পরিণতি সাসপেন্স ভরা ভালাে লাগার মতাে সত্যিই চমৎকার। ‘বিদেশিনী' গল্পটি সব বয়সী পাঠকের নিকট গ্রহণযােগ্য ও পছন্দসই একটি অতি প্রাসঙ্গিক, সামাজিক ও যুগােপযােগী ছােট গল্প, সন্দেহ নেই। ‘অপরিণত' গল্পটিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি অপরিণত মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। এটি একটি স্পর্শকাতর ও বেদনাদায়ক বিয়ােগাত্মক কাহিনী। সৌভাগ্য একবারই দরজায় কড়া নাড়ে, সুখ থাকতেও সুখের অমর্যাদা কিংবা জেনেশুনে বিষ পান করা; এর মতােই ‘প্রেম, তবুও প্রেম নয়। ভার্সিটিপড়ুয়া শােভন ও নিশির জীবনে তেমনই এক ‘প্রেমহীন গল্প’ ঘন কুয়াশার মতাে নেমে আসে, যা ওই গল্পে প্রকাশ পেয়েছে। গ্রন্থটির নামকরণ নিয়ে হয়তাে অনেক পাঠকেরই দ্বিধা থাকতে পারে, কিন্তু পাঠ শেষে সেই দ্বিধা আর থাকবে না, এমনটি আশা করা যায়।