“দন্ত্যন রুহমান" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ছেলেটাকে দেখলেই খুব কাছের মনে হবে আপনার, মনে হবে খুবই পরিচিত, একান্ত আপনজন। আপনার আরাে মনে হবেআরে, এ ছেলেটাকে তাে চিনি, কোথায় যেন দেখ... See more
TK. 150 TK. 114 You Save TK. 36 (24%)
কমিয়ে দেখুন
আর মাত্র ৩দিন বাকি, বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
আর মাত্র ৩দিন বাকি, বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
“দন্ত্যন রুহমান" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ছেলেটাকে দেখলেই খুব কাছের মনে হবে আপনার, মনে হবে খুবই পরিচিত, একান্ত আপনজন। আপনার আরাে মনে হবেআরে, এ ছেলেটাকে তাে চিনি, কোথায় যেন দেখেছি, কোথায় যেন দেখেছি...। সম্ভবত এ ছেলেটার সঙ্গে আগে কোথাও একবার পরিচয় হয়েছিল। আপনার। ছেলেটার নাম নজির রহমান। মায়ের বাবার নাম ছিল এটা। বাবার মতাে ভালাে মানুষের নজির নাকি অত্র এলাকায় একটিও ছিল না। মা তাই ছেলের নামও রাখেন নজির রহমান, যাতে নানার মতাে একজন ভালাে মানুষ হয় সে। কিন্তু কিছুটা বড় হয়ে ছেলেটা বুঝতে পারে তার মধ্যে আসলে ভালাে মানুষের কোনাে নজির নেই- তার মধ্যে হিংসা আছে, ক্রোধ আছে, লােভ আছে, খারাপ অনেক কিছুই। তাই একদিন নিজের নামটা পাল্টে ফেলে সে। নজির নামটা যেহেতু মা নিজে রেখেছে, তাই মায়ের সম্মানার্থে নজিরের ন (দন্ত্যন); আর দেশে অনেক রহমান টাইটেলধারী মানুষ আছেন, কেউ হয়েছেন রাহমান, কেউ হয়েছেন রেহমান, তাই রহমান পাল্টে অন্যরকমভাবে সে রাখে রুহমান। দুটো মিলিয়ে তার নতুন নাম দাঁড়ায়- দন্ত্যন রহমান। মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে পালানাে এ ছেলেটা একটা ব্যাগ কুড়িয়ে পায় একদিন, ব্যাগের মধ্যে অন্যরকম কিছু আছে। ব্যাগটা ব্যাগের মালিককে ফেরত দেওয়ার জন্য সে হন্য হয়ে ঘােরে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একটা লােকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার, বাশার আলী নাম, অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প বলে সে। ব্যাগটা ফেরত দিতে গিয়েই তার কথা হয় অর্পার সঙ্গে, কবিতার সঙ্গে, চৈতীর সঙ্গে, নিপূনের সঙ্গে। অবশেষে ব্যাগটা সে ফেরত দিতে পারে ব্যাগের মালিককে। তারপর, তারপর সে একটা গল্প বলে বাশার আলীকে। বাশার আলী সব অদ্ভুত গল্প বলে ম্লান হয়ে যায় এই গল্পের কাছে। তার মনে হয় এত অদ্ভুত গল্প সে আর কোনােদিন শােনেনি, শুনবেও না।
বর্তমান সময়ের তরুণ বাংলাদেশী লেখকদের তালিকা তৈরি করতে গেলে অনায়েসেই প্রথম সারিতে জায়গা করে নেবেন কথাসাহিত্যিক সুমন্ত আসলাম। তাঁর জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলায়, মা রওশনারা পারুল ও বাবা মরহুম সোহরাব আলী তালুকদার। স্ত্রী ফারজানা ঊর্মি আর মেয়ে সুমর্মীকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লেখকের সংসার। সিরাজগঞ্জে বাড়ির পারিবারিক লাইব্রেরিতেই বই পড়ার হাতেখড়ি তার। সেই সূত্রে ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলেও লেখালেখির শুরু ঢাকায় আসার পরে। ছোটগল্পের বই ‘স্বপ্নবেড়ি’ তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই, যা প্রকাশনায় ছিল ‘সময় প্রকাশন’। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি কাজ করছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করে তুলতে, চাইল্ড ড্রিম সোসাইটি নামের একটি সংগঠনে। এছাড়াও জড়িয়ে আছেন সাংবাদিকতা পেশার সাথে। পাঠক জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে সুমন্ত আসলামের সেরা বই হিসেবে নাম উঠে আসবে ‘হয়তো কেউ এসেছিল’, ‘জানি না কখন’ বা ‘কে তুমি’ অথবা ‘যদি কখনো’ এর মতো জনপ্রিয় সব বই এর নাম । এছাড়াও ‘নীল এই যে আমি!’, ‘আমি আছি কাছাকাছি’, ‘অ্যালিয়ান’, ‘জানালার ওপাশে’, ‘রোল নাম্বার শূন্য’, ‘বীভৎস’, ‘কেউ একজন আসবে বলে’, ‘জিনিয়াস জিনিয়ান’, ‘কোনো কোনো একলা রাত এমন’, ‘তবুও তোমায় আমি’, ‘অনুভব’, ‘মিস্টার ৪২০’, ‘স্পর্শের বাইরে’, ‘ভালো থেকো ভালোবেসে’, ‘ডাঁটি ভাঙা চশমা রাফিদ’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘জ্যোৎস্না নিমন্ত্রণ’, ‘প্রিয়ব্রতর ব্যক্তিগত পাপ’, ‘জ্যোৎস্না বিলাস’, ‘মহাকিপ্পন’, ‘তপুর চালাকি’, ‘আশ্চর্য তুমিও!’, ‘হাফ সার্কেল’, ‘কঞ্জুস’, ‘মাঝরাতে সে যখন একা’, ‘আই এম গুড ডু’, ‘আই সে দ্য সান’, ‘তুমি ছুঁয়ে যাও বৃষ্টি তবু’সহ আরো অনেক বই রয়েছে লেখক সুমন্ত আসলাম এর বই সমগ্র এর তালিকায়। এছাড়াও সিরিজ আকারে লিখেছেন ‘বাউন্ডুলে’ ও ‘পাঁচ গোয়েন্দা’র মতো জনপ্রিয় কিছু বই। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে, এমনকি একুশে বই মেলাতেও সুমন্ত আসলাম এর বই সমূহ এর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। ভাষাগত সারল্য ও সাবলীলতা তাঁর জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় কারণ। মানুষকে কেন্দ্র করে তাকে আবর্তিত করে যা যা আছে তা-ই মূলত তার লেখার বিষয়বস্তু।
সুমন্ত আসলাম। এখনকার তরুণ পাঠকের কাছে ‘প্রিয় লেখক’ নাম এটি। দু’চোখ ভরা স্বপ্ন তার। দেশ, জাতি, সমাজ, মানুষ সবাইকে নিয়েই তিনি স্বপ্ন দেখেন। সবার ভালো থাকার স্বপ্ন দেখেন। অনেক ভালোবাসা নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। আর, সে সব স্বপ্নের বীজ তিনি বপন করেন পাঠকের মনেও। তাইতো কাছের বন্ধুরা তাকে বলে স্বপ্নবাজ। মরহুম সোহরাব আলী তালুকদার ও রওশন আরা পারুলের সন্তান তিনি। জন্মেছেন সিরাজগঞ্জে। অসম্ভব দুষ্ট ছিলেন তিনি ছেলেবেলায়। ঘুড়ি উড়ানো আর লাটিম ঘুরানোর স্মৃতিঘেরা ছেলেবেলা তার। অনেক আনন্দময় শৈশব ও কৈশর কাটিয়েছেন। তবে এখন বড়বেলায় এসেও সেই আনন্দে ভাটা পরেনি এতটুকুও। সব সময় তিনি আনন্দে থাকেন। তার দাবী বাংলাদেশে যদি ১০০ জন মানুষ থাকেন যারা আনন্দ নিয়ে বেঁচে আছেন তার মধ্যে তিনিও একজন। বিষয়টা ভাবতেও তার খুব ভালো লাগে। ছোটবেলায় নিজ বাড়ীতেই পারিবারিক লাইব্রেরী ছিল এবং সেই সূত্রেই বই পড়ার অভ্যাস। তাঁর লেখালেখির শুরু ঢাকায় আসার পর। ‘মৌচাকে ঢিল’ নামে গল্প ছাপা হত পত্রিকায়। সেই থেকেই শুরু। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭২টি। এবারের (২০১৬) এর একুশে বইমেলায় তাঁর ‘দন্ত্যন রুহমান’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে দেশ পাবলিকেশন্স থেকে। বইটির গ্রন্থস্বত্ব লেখক এবং প্রচ্ছদ করেছেন সুহর্ষ সৌম্য। গল্পের মূল চরিত্র একটি ছেলে, নাম নজির রহমান। নানার নামে নাম রেখেছেলিনে মা, কারণ ছিল নানার মত ভাল মানুষ যেন হতে পারে সে। কিন্তু সে নিজের মধ্যে অহংকার, হিংসা আর লোভ খুঁজে পান, তাই সে নাম পরিবর্তন করে রাখেন দন্ত্যন রুহমান। মায়ের দেয়া নজিরের দন্ত্যন(ন) আর দেশে অনেকের নাম ই রহমান বা রেহমান তাই সে পরিবর্তন করে রাখে রুহমান। মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে পালানো এই ছেলেটা একদিন একটা ব্যাগ কুড়িয়ে পায়, ব্যাগের মধ্যে অন্যরকম কিছু আছে। ব্যাগের মালিক খুজতে গিয়ে তাঁর পরিচয় হয় বাশার আলী নামে এক লোকের সাথে, অদ্ভুত অদ্ভুত সব গল্প বলে সে। ব্যাগ ফেরত দিতে গিয়ে তাঁর আরও কথা হয় অর্পার সঙ্গে, কবিতার সঙ্গে, চৈতির সঙ্গে, নিপূণের সঙ্গে। তারপর সে একটা গল্প বলে বাশার আলীকে, বাশার আলীর অদ্ভুত সব গল্প ম্লান হয়ে যায় এই গল্পের কাছে। তাঁর মনে হতে থাকে এই রকম গল্প সে কখনো শোনেনি, শুনবেও না। লেখক সুমন্ত আসলামের “দন্ত্যন রুহমান” বইটি ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে।