“তাজউদ্দীন আহমদ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের অনন্য ভূমিকা পালনকারী একজন রাজনীতিবিদ। '৭১-এ বাঙালির ক্রান্তিলগ্নে গােটা জাতি যখন দিশেহারা তখন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব ও। কাণ্ডারীর দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেন। গঠন করেন ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শত্রুরা ঠিকই বুঝল, বঙ্গবন্ধু না থাকলেও তাজউদ্দীন তাে আছেন, তাঁকে শেষ না করা পর্যন্ত তাদের মিশন সফল হবে না। তাই । তাকে গৃহবন্দি করা হলাে, পরে করা হলাে জেলবন্দি। যে মানুষটি উপাধি পেয়েছিলেন বঙ্গতাজ, যিনি ছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী, রণাঙ্গনের সাহসী বীর, যিনি আজীবন মাটি, মানুষ ও দেশের কল্যাণ নিয়ে ভেবেছেন, সেই প্রচারবিমুখ, ত্যাগী ও খাঁটি দেশপ্রেমিক মানুষটিকে '৭৫-এর ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় সব নিয়ম লঙ্ঘন করে বর্বরতার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে ঘাতকের দল। কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নােমান সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় সব শ্রেণির পাঠকের জন্য লিখেছেন এই মনীষীর পূর্ণাঙ্গ জীবনী। তাজউদ্দীনের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বইটি একটি অনবদ্য দলিল।
স্বকৃত নোমান বাংলা ভাষার কথাশিল্পী। জন্ম ১৯৮০ সালের ৮ নভেম্বর, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়ায়। জ্ঞানার্জন ও লেখালেখিকে জীবনের প্রধান কাজ বলে মনে করেন। প্রকাশিত উপন্যাস : রাজনটী, বেগানা, হীরকডানা, কালকেউটের সুখ, শেষ জাহাজের আদমেরা, মায়ামুকুট। গল্পগ্রন্থ : নিশিরঙ্গিনী, বালিহাঁসের ডাক, ইবিকাসের বংশধর, বানিয়াশান্তার মেয়ে। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে আরও বই। পাঠক সমাবেশ প্রকাশ করেছে দুই খণ্ডে ‘উপন্যাস সংগ্রহ’ এবং এক খণ্ডে ‘গল্পসংগ্রহ’। এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার, এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কারসহ ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মাননায়। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।