"চার দরবেশের কাহিনী" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ প্রেমিকা হারানাে চার দরবেশ আর রুমের (বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুল) নিঃসন্তান বাদশাহ আজাদ বখতের বিস্ময়কর ও রােমাঞ্চকর কাহিনী নিয়ে লেখা হয়েছে। ‘কিস্সা-ই-চাহার দরবেশ’ যার অনূদিত নাম ‘চার দরবেশের কাহিনী। পারসী সাহিত্যের অমর কবি আমির খসরু কাহিনীর শুরু করেন বাদশাহ আজাদ বখতকে নিয়ে। সন্তান কামনায় রাজ্যশাসন ভুলে বাদশাহ যখন দিনরাত শুধু আল্লাহকে ডেকে যাচ্ছিলেন। তখন এক গভীর রাতে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি গােরস্থানে যান। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় চার দরবেশ যুবকের। তারা কেউ শাহজাদা কেউ সওদাগরপুত্র। বিলাসী জীবনের মােহ ত্যাগ করে পাগলপ্রায় হয়ে তারা যখন প্রেমিকাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তখন এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করে বলেন, তারা যদি রুমের বাদশাহ আজাদ বখতের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন তবে তাদের হারানাে প্রেমিকাকে ফিরে পাবেন। এ আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে পৃথিবীর চার প্রান্ত থেকে চার দরবেশ রুমে এসে গােরস্থানে মিলিত হােন। বাদশাহ্ আজাদ বখতের সঙ্গেও তাদের পরিচয় হয়। কিন্তু তারপর?... ...তারপর চার দরবেশ আর বাদশাহ বলে গেছেন তাদের জীবনে ঘটে যাওযা অবিশ্বাস্য সব কাহিনী, যা পড়ার সময় পাঠকদের শুধু এ বইয়ের মাঝে ধরেই রাখবে না- রােমাঞ্চকর এক বিস্ময়কর ভুবনে পৌছে দেবে। গতিশীল বাক্যে অনূদিত এ বইটি সব শ্রেণীর পাঠকের কাছে যদি প্রশংসা কুড়ােতে পারে, তবেই আমি এ শ্রমকে সার্থক মনে করব ।