সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ আমার ছোটবেলা থেকেই। আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে একদম খাঁটি গ্রামে। আর এ জন্যই আমার লেখালেখিতে খোরাক হয়েছে গ্রামের মাটি ও মানুষ। গ্রামে না জন্মালে হয়তো আমার লেখালেখি করা হয়ে উঠত না। তাই আমার গ্রামের প্রতিটি মানুষের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। লেখালেখিতে অনুপ্রেরণাদাতা হিসেবে প্রথম নামটি আমার স্কুলশিক্ষক বাবা আমির হোসেনের। এর সাথে আরো দুজন মানুষকে আমি স্মরণ করি। আমার মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক বিনয় ভূষণ ব্যানার্জী এবং মুন্নজান বেগম। স্কুলজীবনে যেসব লেখালেখি করেছি তা গভীর আগ্রহে তারা পড়তেন এবং সংশোধন করে অনুপ্রেরণা দিতেন। এর আগেও আমার তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। নানা কারণে মাঝখানে বিরতি ছিল লেখালেখির। নতুন করে আবার লিখতে পারাটা যে দুজন মানুষের জন্য তারা হলেনÑ আমার শ্বশুর অ্যাডভোকেট শাহ্ আলম খান ও শাশুড়ি ডা. জিনাত আরা খান। তারা আমায় লেখালেখিতে অনুপ্রেরণা দেন সব সময়। আমার মুষড়ে পড়া জীবনের গতিপথকে আলোর পথে এনে নতুন করে আমাকে বাঁচতে শিখিয়েছে আমার সহধর্মিণী শারমিন খান সুধা। যার প্রতি কৃতজ্ঞতা লিখে বোঝানো যাবে না। তার জন্যই মূলত মলাটবন্দি করা সম্ভব হলো কবিতাগুলো। শুধু বলব, তোমার জন্য ভালোবাসা নিরন্তর...