হাজার বছরের জাপানের সভ্যতার ইতিহাস, যোদ্ধা জাতি ‘সামুরাই-“The server” । সর্বোচ্চ শ্রেণীতে আসীন। যুদ্ধক্ষেত্রে শেষ রক্তবিন্দু অবধি লড়ে বীরের মৃত্যুবরণ যাঁদের পরম আরাধ্য। কারণ, ব্যর্থতায় দুঃসহ যন্ত্রণাময় “হারাকিরি”র আত্মহনন! সমস্যার উদয় ১৮৬৮ সালে। আধুনিক জাপান তৈরিতে শ্রেণী বিভাজন তুলে দিয়ে সামুরাই শ্রেণীর অবলুপ্ত ঘোষণা এবং অস্ত্র সমর্পণের আদেশ। শুরু হলো রক্তগঙ্গার আরেক ইতিহাস। শৌর্যবীর্য হারিয়ে যোদ্ধা জাতি শ্রেণীভেদে প্রশাসনিক পদে আসীন হলো। শুধু মানতে পারলোনা একজন। বিলুপ্ত জীবনশৈলী আকড়ে বেঁচে রইলেন আধুনিক জাপানে একমাত্র জীবিত সামুরাই — এক চলমান অশরীরি। গল্পের আরেক পটভূমি বাংলাদেশ; সংগঠিত নতুন আদিবাসী বিদ্রোহী দলের উদয় যাদের আক্রমণের কৌশল “ নিনজা”। অনুসন্ধানে সন্দেহের তীরবিদ্ধ হলেন নিনজা শ্রেণীর জন্মস্থল জাপানের একমাত্র জীবিত সামুরাই । তদন্তে প্রেরিত পুরুষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা পথেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন। ক্রমাগত জটিলতার চোরাবালিতে ডুবে যেতে লাগলো নারী কর্মকর্তা । তাঁর বাগদত্ত সেই পুরুষ সহকর্মী অলৌকিকভাবে ফিরলেও অন্তহীন নিস্তব্ধ এক ভিন্ন মানুষ! একের পর এক অলীক, বিভ্রান্তির সাথে প্রতি মুহুর্তে পাল্টে যাওয়া বাঁকে একা যুঝতে যুঝতে ক্লান্ত- বিধ্বস্ত মেয়েটি নিজেই যেন হয়ে উঠলেন এক সামুরাই- যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ ছাড়া যার আর কোন পথ খোলা নেই।