“বংশালের বনলতা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বংশালের বনলতা ছয়টি অতিপ্রাকৃত গল্পের একটি সংকলন। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের এই গল্পগুলাে লেখা হয়েছে বাংলাদেশের নানান ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে। সাহিত্যের রীতিতে বিচার করলে কাহিনিগুলােকে সুপারন্যাচারল থ্রিলার বা অতিপ্রাকৃত রােমঞ্চকর গল্প বলা যেতে পারে। বইটিতে ঐতিহাসিক যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলাে আপাতদৃষ্টিতে অবাস্তব মনে হলেও আসলে সত্যি। অন্যভাবে বললে, ইতিহাস-ভিত্তিক ঘটনাগুলাে যতদূর সম্ভব অবিকৃত রেখেই গল্পগুলাে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। সম্ভবত এ ধরনের হরর থ্রিলার বাংলা সাহিত্যে এর আগে লেখা হয়নি। আর হলেও তা খুবই বিরল। উত্তর আমেরিকাতে এই জাতীয় লেখা ভীষণ জনপ্রিয়। উইলিয়াম ডিট্রিচ, ড্যান ব্রাউন, জেমস রলিন্স, উইলবার স্মিথ-কে এ ধরনের লেখার দিকপাল ধরা হয়। এ যুগে শুধু কল্প-কাহিনি দিয়ে পাঠককে আকৃষ্ট করা আর সম্ভব হচ্ছে না। এখন পাঠকেরা চান লেখক বিষয়বস্তু ভালভাবে জেনে বুঝে তারপর লিখুক। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বংশালের বনলতা লেখা হয়েছে। পুরােপুরিভাবে খেয়াল রাখা হয়েছে পাঠক যেন ঘটনার ঘনঘটায় বিরক্ত না হন। কিংবা ধৈর্য না হারান। বরং গল্প পড়ে মজা পান। কাহিনিগুলাের টান টান উত্তেজনা, বিষয় বৈচিত্র, চমকপ্রদ সমাপ্তি এবং গতিশীল গদ্য কিছুক্ষণের জন্যে হলেও পাঠকদের ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যেতে সক্ষম বললে অত্যুক্তি হবে না। সব শেষে এটুকু বলা যায় যে, গল্পগুলাে পড়ে পাঠক প্রতারিত বােধ করবেন না।
ড. মুহম্মদ আলমগীর তৈমুরের জন্ম ১৯৬৬ সালে কুষ্টিায় শহরের গােল্ড কোটে।। পড়লেখা ও গবেষণা কষ্টিয়া, ঢাকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায়। বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।