জীবনের সরবরি এলোকেশির মত, অজানা, অচেনা আর অঙ্গাত কোন সাথীকে পাশে নিয়ে সুদূর পথের নীল সীমানায় অন্তিম রেখার পাশে উপস্থিত হওয়ার মত, সুর রাঙ্গ সেতারের কণ্ঠনীল আভাস জরিত, মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে দিয়ে কোন এক উর্বশি বা উষশির মত অপ্সরির হাত ধরে সামনের অজানা, অচেনা বন্ধুর পথকে পাড়ি দেয়ার জন্য হৃদয় মন্দিরে যে তীব্র আর ব্যাকুলতায় ভরা এস্ত আবেদনের তাড়নায় ব্যগ্র বাঘের মত ধ্বংসের উল্লাসে মত্ত মাতাল হৃদয় সেই সুনীল। আকাশের নীচে বিশাল প্রস্থর খন্ডে নিজের অজান্তে নিজের স্মৃতি চিহ্ন এঁকে দেয়ার মত, শব্দের অর্থ না জানলে যেমন করে বাংলা অভিধানের নাড়ীতে টান পরে, ফলে সৃষ্টি হয় এক নতুন অভিধানের, যেমন করে মানব কায়ার সাথে সাথে শব্দের অর্থের চেহারাও নিজের মত করে রূপ বদলাতে থাকে, নিজের আত্মপ্রকাশের তরে যেমন করে একবিন্দু জলের মত সংকুচিত হয়ে নিজের অস্তিত্বের বিনাশ সাধন করতে ইচ্ছুক না, ঠিক তেমনি গ্রাম্য মেঠো পথের দ্বার প্রান্তে কার সাথে মিলিত হবার আশে, হৃদয় মন্দিরে ভালবাসার পদ্মের সৌরভে সুরভিত এক মায়াময় ইন্দ্রজালকের ইন্দ্রজালকের ন্যায় নিষ্পেষিত, উদ্গীরিত আর হায়েনার ভয়ানক থাবার কবল থেকে বাঁচার আশে সে তার নিজ সর্বস্ব কি করে বিকীয়ে দিয়ে নিজের হাতে অতি আদর যত্ন আর ভালবাসায় গড়া ছোট্ট কিন্তু এক অযাচিত মায়ায়...