স্ত্রী রেহানাকে হত্যার দায়ে আট বছরের জেলবাস শেষে এক অসম্ভব চেষ্টায় নেমেছে জাফর প্রমাণ করবে নিজের নির্দোষিতা। খুঁজে বের করবে স্ত্রীর আসল হত্যাকারীকে। সমস্যা হল, হাতে এমন কোনো তথ্য নেই যাতে প্রমাণ করতে পারে, সে নয়, অন্য কেউ খুন করেছে রেহানাকে। সাহায্য পাবার উপায় নেই কারো কাছ থেকে, কারণ সবারই বিশ্বাস খুনী আর কেউই নয়, সে। বিরুদ্ধ স্রোতে সাঁতার কাটতে কাটতে যখন ক্লান্ত, হতাশ জাফর, তখনই অপ্রত্যাশিত সাহায্য মেলে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে। জাফর আর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি সৌমেন বিশ্বাস কি পারবে রেহানার আসল হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে, নাকি আইন আর সমাজের চোখে চিরদিনই অপরাধী হয়ে থাকবে জাফর?
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।
মোস্তাক শরীফ-এর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফেনীতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পিএইচডি করেছেন 'পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা' নিয়ে, ২০১১ সালে। লেখালেখির সূচনা ১৯৯০-এর দশকে, দৈনিক ভোরের কাগজের প্রদায়ক হিসেবে। উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, ইতিহাস, অনুবাদ, শিশুপাঠ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট বইয়ের সংখ্যা ত্রিশ। সম্পৃক্ত আছেন উন্নয়ন গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায়ও। আত্ম-উন্নয়ন বিষয়ে এর আগে অনূদিত তিনটি বই হচ্ছে: স্টিভ চ্যান্ডলার-এর 'ওয়ান হান্ড্রেড ওয়েজ টু মোটিভেট ইয়োরসেল্ফ', পেগি ক্লাউস-এর 'দ্য হার্ড ট্রুথ অ্যাবাউট সফট স্কিলস' এবং রায়ান হলিডে-র 'দ্য অবস্টেকল ইজ দ্য ওয়ে'।