প্রয়াত কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের বাম ধারার রাজনৈতিক আন্দোলনের এক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। একসময় মতিন-আলাউদ্দিন বামপন্থী দলটির ছিল এ দেশের শ্রেণিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। আলাউদ্দিন আহমেদের নিজের এবং তাঁর সম্পর্কিত বিভিন্ন লেখা গ্রন্থবদ্ধ করার লক্ষ্যে বর্তমান কমরেড আলাউদ্দিন সমগ্র প্রকাশের উদ্যোগ। তবে তাঁর প্রকাশিত বই বা লেখা সহজলভ্য নয় বলে যতটুকু সংগ্রহ করা গেছে তাই দিয়ে এই কমরেড আলাউদ্দিন সমগ্র। গ্রন্থে কমরেড আলাউদ্দিন সম্পর্কে যেসব মূল্যায়ন বা স্মৃতিচারণমূলক লেখা আছে সেগুলো সংগ্রহ করেছেন গণসঙ্গীত শিল্পী কমরুদ্দিন আবসার। গ্রন্থটির জন্য ভূমিকা লিখেছেন কবি, সাংবাদিক, নাট্যকার ইন্দু সাহা। সর্বোপরি কমরেড আলাউদ্দিন সমগ্র গ্রন্থনা ও সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন সাহিত্যিক আফরোজা অদিতি। কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদের সমগ্র রচনা প্রকাশ সচেতন পাঠকের জন্য নিঃসন্দেহে এক প্রাপ্তিযোগ। আলাউদ্দিন আহমেদ (১৯৩০-২০০৩)। আসল নাম মুহাম্মদ আলাউদ্দিন। জন্ম শাহপুর, ঈশ্বরদী, পাবনা। বাবা মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন সরদার, মা জরিমন নেসা (জরিনা খাতুন)। শিক্ষা অর্জন ম্যাট্রিকুলেশন (১৯৪৭) চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ। বিএ (১৯৫৪) এডওয়ার্ড মহাবিদ্যালয়, পাবনা। ১৯৫৭ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কাগমারী সম্মেলনে অংশগ্রহণ। ১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান। ১৯৬৭ সালে ন্যাপ চীন ও মস্কো দুই অংশে ভেঙে গেলে যুক্ত হন চীনপন্থীদের সঙ্গে। ১৯৬৯ সালে ঈশ্বরদীর শাহপুরে লালটুপি সম্মেলনে অংশগ্রহণ। ১৯৭০ সালে সন্তোষে বক্তব্য প্রদান। ১৯৭১ সালে চারু মজুমদারের ‘খতমে’র রাজনীতি ত্যাগ। ১৯৭৫ সালে ঢাকায় মুজিব বাহিনীর হাতে গ্রেফতার। ১৯৭৬ সালে জেল থেকে মুক্তি মওলানা ভাসানীর বদন্যতায়। ১৯৭৯ সালে চীন সফর। ১৯৮০ সালে ঈশ্বরদীতে কৃষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ। ২০০৩ সালের ১২ই মার্চ পরলোকগমন।
Afroza Aditi - পাবনার ঈশ্বরদীতে জন্মগ্রহণ করেন। পূবালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে অবসর নিয়েছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। তিনি বাংলা একাডেমির সদস্য। যুক্ত আছেন সাহিত্য সংগঠন এবং সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে। তিনি কমরেড আলাউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন। আফরোজা অদিতি তটিনী (সাহিত্যপত্র) নামে একটি পত্রিকার প্রকাশক এবং সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার।