‘ট্র্যাজেডি অব আরব স্প্রিং’ বইয়ের কিছু কথাঃ ট্র্যাজেডি অব আরব স্প্রিং’-এর অধিকাংশ লেখা আরবকে নিয়ে। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলির পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক কিছু লেখা এই বইতে স্থান পেয়েছে। আরবের জ্বালানি সম্পদই আরবের সব সংকটের মূল। পশ্চিমা সভ্যতা জ্বালানি ছাড়া অচল। প্রাকৃতিক কারণেই তাদের জনজীবনও জ্বালানি নির্ভর। জ্বালানি না হলে পশ্চিমা বিশ্বের জনজীবন বিধ্বস্ত হয়ে যাবে। জ্বালানির সুরক্ষার জন্যই পশ্চিমা বিশ্ব সম্পূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যকে কখনও স্থিতিশীল হতে দেয়নি। আমেরিকা ইসরাইল রাষ্ট্রটিকে ভর্তুকি দিয়ে টিকিয়ে রাখছে শুধু এ কারণে। সারা বিশ্বের জ্বালানির ২৫ পার্সেন্ট প্রয়োজন আমেরিকার। অথচ তার তহবিলে জ্বালানি রয়েছে মাত্র ৩ পার্সেন্ট। অবশিষ্ট জ্বালানির জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় মধ্যপ্রাচ্য, ভেনেজুয়ালা ও নাইজিরিয়ার উপর। আপদকালীন সময়ের জন্য তার মজুদ স্টকে ১৭০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল রয়েছে। দৈনিক ৮০ কোটি ডলারের তেল প্রয়োজন হয় আমেরিকার। বর্তমান গ্রন্থে এ বিষয়ে অনেক কিছু আলোচনা রয়েছে। আরব স্প্রিংয়ের পেছনে রয়েছে আমেরিকার ইন্ধন, আরব স্প্রিং ট্রাজেডিতেও তার অবদান ষোল আনা। মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ে আমেরিকার খেলার কোনো শেষ নেই। ইসলামিক স্টেট তারই সৃষ্টি। শিয়া-সুন্নি বিরোধ-তারই প্রচেষ্টার ফল। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানেরা যদি সচেতন না হয় তবে তাদের বরাতে আরো দুঃখ আছে। গ্রন্থটিতে একজন অনুসন্ধানী সচেতন সাংবাদিকের অন্তর্দৃষ্টি ধরা পড়েছে।