বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া তুমি আমার সঙ্গে যে প্রতারণা করছো, ভণ্ডামি করেছো, তার জন্য ভয়ানক শাস্তি হওয়া উচিৎ তোমার। কিন্তু আমি তোমাকে কিছুই বলিনি। কেন বলিনি জানো? তোমার মতো ইতর প্রাণীর সঙ্গে সংসার করে যে অন্যায় করেছি তার প্রায়শ্চিত্ত এমনিভাবে করবো বলে। বলতে পারো, এটা আমার আত্মহনন। দুহাতে তালি বাজায় পথিক, তুমি যে তোমার কীর্তির চেয়েও মহৎ। তোমাকে তালি বাজাতে হবে না। এখন বাসা থেকে চলে যাও। নিবিড় আসবে স্কুল থেকে। তোমার নোংরা মুখ ও দেখুক আমি চাই না। আমার মুখ নোংরা? পথিক এক খণ্ড পাথরের মতো ছুটে আসে মাথবীর দিকে। কিছু বুঝবার আগেই মাধবীকে ধরে দু'গালে পর পর চারটে চড় দেয়। হতম্ভব মাধবী দু'হাতে গাল চেপে ধরে তাকিয়ে থাকে পথিকের দিকে। পথিকও তাকায়। কয়েক মুহূর্ত মাত্র চলে যাওয়ার জন্য মাথা নিচু করে দরজার দিকে ঘোরে, দরজায় আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে নিবিড়। বড় বড় চোখে দেখছে অসহায় মাকে, দেখছে পাষবিক পিতাকে। নিবিড়কে দেখে পথিক সামনে বাঘ দেখার মতো চমকে ওঠে। পুরো উপন্যাসটা এইভাবে ক্রোধে, কামে, প্রেমে, অপ্রেমে, আগুনে হিংস্রতায় প্রবল প্রতারণায় ঠাসা, যা আজকের সমাজের মানচিত্র। জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা তিনজন নারীকে বিয়ে কেরেছে কয়েক বছরের ব্যবধানে এবং তিনজন স্ত্রীই বর্তমান। কেমন আছে স্ত্রীরা? পথিকইবা কেমন আছে?
জন্ম ১৯৬৮ সালে পহেলা মে [সার্টিফিকেট অনুসারে] বৃহত্তর বরিশালের পিরোজপুর জেলার ভানডারিয়া উপজেলার বোথলা গ্রামে, প্রমত্ত কচানদীর পারে। শৈশব থেকে লেখালেখির শুরু।