"দাম দিয়ে কিনেছি এই বাংলা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধের তীব্রতায় পুরাে বাংলাদেশের রণাঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। গঙ্গাসাগর সালদানদী, মন্দবাগ, হিলি, কমলপুর, জামালপুর সাতক্ষীরা কানাইঘাটসহ আরাে অনেক রণাঙ্গনের পাশাপাশি বিলােনিয়া রণাঙ্গন অত্যন্ত উত্তপ্ত একটি রণাঙ্গন। একাত্তরের ফেনী-বিলােনিয়া ছিল একটি উত্তপ্ত রণাঙ্গনযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ অবধি প্রায় ১০০ বর্গমাইলের এই এনক্লেভটির স্ট্রাটেজিক গুরুত্বের কারণে ফেনী-বিলােনিয়া ছিল আমাদের এবং পাকিস্তানিদের জন্য মর্যাদার লড়াই। ক্ষেত্র জুন মাসের প্রথমার্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান এখানে আসেন নিজেই যুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিতে মিত্র বাহিনীর ৪ কো-কমান্ডার লে. জেনারেল সগত সিং এবং তার ২৩ মাউন্টেন ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মে. জেনারেল আর. ডি. হীরা উদ্বিগ্ন ছিলেন বিলােনিয়ার দখল নিয়ে । আমাদের ছিলেন অপেক্ষাকৃত দুইজন অত্যন্ত জুনিয়ার অফিসার ২নং সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মােশাররফ এবং ফেনী-বিলােনিয়া রণক্ষেত্রের টাস্ক ফোর্স কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম আর তার আবু সাহসের এক দঙ্গল সহযােদ্ধা। তারাই এবং তারাই ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের অধিনায়কত্বে অর্থাৎ ১০ম ইস্ট রেজিমেন্ট-এর সৈনিক এবং গণযােদ্ধারা পর্যদস্ত, পরাভূত এবং পরাজিত করে ফেনীবিলােনিয়ায় যুদ্ধরত পেশাদার পাকিস্তানি সেনাদের। মিত্র বাহিনীর আর্টিলারি অবশ্য অসামান্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফায়ার সাপাের্ট প্রদান করেছিল। যুদ্ধরত ২৪ এফ এফ রেজিমেন্ট-এর সব অফিসার ও সৈনিক যুদ্ধবন্দি হয় ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের কাছে, ২৫ মার্চের অব্যবহিত পূর্বে যে ইউনিটে তিনি চাকরিরত ছিলেন।