‘পাখির ঠোঁটে খড়’ কবি শ্যামলী মজুমদারের প্রথম উপন্যাস। এই উপন্যাসের চরিত্রগুলো কখনো মানুষ, কখনো প্রকৃতি, কখনো পরাবাস্তব ও বাস্তবতার শরীরি প্রতিফলন। সব মিলিয়ে উত্তর আধুনিক মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় ভরা। চারপাশের সকল অহিমশত্বে সে পরিপূর্ণ, সবই পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত ও প্রভাবিত। এমন কি মৃত্যু, জীবন, মৃত্যু পরবর্তী চেতনা সব যোগসূত্রে বাঁধা। কোন একক অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয় উপন্যাসের চরিত্রগুলি। উপন্যাসটির পরিবেশনার মুন্সিয়ানায় একটি অসাধরন যোগসূত্রের জাল তৈরি হয়েছে। ‘নিশিজাগা কন্যা আমি। বিভ্রম জাগে মনে। আমি কানাডায়, না সুদুর দুঃখ জাগানিয়া নোয়াখালির প্রত্যন্ত এক গ্রামে।’ শুরুর এই শুরু পাঠককে টানতে থাকে ঘটনার গভীরে ক্রমাগত। ‘-লেখাপড়া বুঝলি না। শিখবি। তবে আগে তো দেশ। - আমরা লগে যামু। পার্টিতে কাজ করুম।’ প্রতিটি স্তর, উপন্যাসের ভেতরে আরেক উপন্যাসের সূত্রধর। এমনি সব মরমী ডায়লগ, পাঠক নিবিষট মনে এক টানে পড়বে সুখপাঠ্য এ স্বলপর্দৈঘ্য উপন্যাসখানা । সাহিত্যকে ভালোবাসেন যারা তারা সবাই ভালোবাসবেন ‘পাখির ঠোঁটে খড়’ এ প্রত্যাশায়, তার সাথে লেখকের কাছে পৌঁেছ যাবে পাঠক মনের দোলাচল ও পরার্মশ সাংকেতিক মাধ্যমে...