মানুষের মৌলিক অধিকারগুলাের মধ্যে অন্যতম অধিকার হলাে শিক্ষা। মানব সভ্যতা বিনির্মাণে পুরুষ এবং নারীর অবদান বহুমুখী এবং বৈচিত্রময়। তা সত্ত্বেও সমাজ পরিবর্তন এবং বিবর্তনের সাথে সাথে এদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি শুরু হয়। আর এ বিভেদের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলাে শিক্ষা যার অনুপস্থিতিতে নারীর ব্যক্তিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রগুলাে সংকুচিত এবং কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে একদমই অনুপস্থিত লক্ষ করা যায়। শিক্ষা মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করে, নিজের অস্তিত্বকে সম্মান করতে শেখায়। মানব সমাজের উন্নয়নে তাই শিক্ষাকে উপেক্ষা করার কোনাে সুযােগ নেই। মানব সম্পদ উন্নয়নের মূলসূত্র শিক্ষায় নারীদের প্রতিষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি আধুনিক কালের নতুন সংযােজন যদিও শত সহস্র বছর ধরে নারী শিক্ষার বিষয়টি তেমন গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়নি। শিক্ষানীতিতে ভারতবর্ষের তথা বাংলার নারীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রথমবারের মতাে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক অনুমােদিত হয়েছিল। নারী শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক সূচনার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার কিছু নীতি প্রণয়ন করেছিল যা পরবর্তীতে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সরকারের সময়কালেও অনুসরণ করা হয়। এ নীতিগুলাে তুলে ধরে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ গবষেণাগ্রন্থে। বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ে আগ্রহী যেকোনাে পাঠকের জন্য এ গবেষণাগ্রন্থটি অবশ্যপাঠ্য।