"ফেরাউনের গ্রাম" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: মিশরকে নিয়ে অনুসন্ধানী পর্যটকদের আগ্রহ নানা কারণে বেশি। প্রথমত বিশ্বের প্রাচীনতম স্থাপতিক নমুনার যে কয়টি এখনাে অবিকৃত অবস্থায় আছে, তার অনেকগুলাের অবস্থান মিশরে। পাঁচ হাজার বছরের পুরােনাে পিরামিড বা চার হাজার বছরের পুরােনাে মানব দেহের সতেজ লাশ (মমি) এখনাে কৌতুহলী পর্যটকের আকর্ষণের বিষয়। এ ছাড়াও পৃথিবীর তিনটি প্রধান ধর্ম ইসলাম, খ্রিষ্টান ও ইহুদী ধর্মে এই দেশের প্রাচীন রাজারানি বা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহের অনেক কথাও বলা আছে। নৃতাত্ত্বিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পর্যটনের বিচারে মিশর এখনাে অনুসন্ধিৎসু। পর্যটকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। শাকুর মজিদ কেবল একজন সাধারণ পর্যটকই নন তিনি একজন স্থপতি, আলােকচিত্রী, ভ্রমণচিত্র নির্মাতা এবং গবেষকও। মিশর ভ্রমণ শেষ করে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন তার এই ভ্রমণবৃত্তান্ত নিয়ে। গিজার পিরামিড দিয়ে শুরু হয়েছে তার ভ্রমণ। এর পর ফারাওদের প্রাচীন রাজধানী লুক্সরে গিয়ে দেখে এসেছেন সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরােনাে রাজমন্দির, রাজ উপত্যকার কবর, নীল নদের তীর ঘিরে গড়ে ওঠা মন্দির, আসুয়ানের নুবিও পাড়া । আবার ফেরত এসে কায়রাের ফারাওনিক ভিলেজ-এ পুরাে সফরের সারাংশের যে খোজ পেয়েছেন, তাই নিয়ে এই ভ্রমণকাহিনি-ফেরাউনের গ্রাম।
শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি, নেশায় লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা। শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পরে গল্প, নাটক, ভ্রমণ-কাহিনি লিখেছেন অনেক। নাটকের সকল শাখায় তার বিচরণ। কুড়ি বছর বয়সে সিলেট বেতারে তাঁর লেখা নাটক ‘যে যাহা করোরে বান্দা আপনার লাগিয়া’ প্রথম (১৯৮৫) প্রচার হয় । লন্ডনী কইন্যা, নাইওরী, বৈরাতী, করিমুন নেছা, চেরাগসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন-নাটক ও টেলিফিল্মের রচয়িতা তিনি। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে তিনশতাধিক প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছেন। দেশ ভ্রমণ তার একটি বড় নেশা। ত্রিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২, বেশীরভাগই ভ্রমণকাহিনি, স্মৃতিচারণ ও আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।