শাহমান মৈশান নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, শিল্পসমালোচক, নির্দেশক ও অনুবাদক । তার রচিত অশেষকৃত্য, ফণা, বিদেহ, সুরাক, দক্ষিণাসুন্দরী, ওথেলো-ভূতেলো, কালচৌতিশা প্রভৃতি নাটক নতুন নাট্যভাষার সূচক। লোকপুরাণ থেকে বিনির্মাণ করেছেন নাটক ভেলুয়া ও নসিমন। যৌথভাবে রচনা করেছেন বেহুলার ভাসান। বাংলায় অনুবাদ ও পুনর্িলখন করেছেন মার্কসবাদী নাট্যকার বার্টল্ট ব্রেখটের দ্য মেজারস টেকেন অবলম্বনে সিদ্ধান্ত ও অভিব্যক্তিবাদী নাট্যকার ফ্রাঙ্ক ওয়েডেকিন্ডের স্প্রিং আওয়েিনঙ অবলম্বনে বসন্ত জাগরণ। এছাড়াও অনুবাদ করেছেন নোবেল জয়ী ইংরেজ নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের চারটি নাটক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে স্বরিচত নাটক ছাড়াও পরিচালনা করেছেন জার্মানির উত্তরাধুনিক নাট্যকার হাইনার ম্যুলারের হ্যামলেটমেশিন, ফ্রাঙ্ক ওয়েডেকিন্ডের বসন্ত জাগরণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চ–ালিকা, চিত্রাঙ্গদা ও ডাকঘর অবলম্বনে প্রকৃতি চিত্রা ও অমলের চাড়ালনামা প্রভৃতি নাটক। বিভাগীয় প্রযোজনা শেকসপীয়রের হ্যামলেট ও ব্রেখটের মেজারস টেকেন নাটকে কাজ করেছেন ড্রামাতুর্গ হিসেবে। অভিনয় করেছেন কেয়ারটেকার, লুক ব্যাক ইন অ্যাংগার, মৃচ্ছকটিক, হোমকামিং ও সংভংচং নাটকে। তার রচিত অনুদিত ও নির্দেশিত নাটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বরিশাল শব্দাবলী, সিরাজগঞ্জ লোকনাট্য দল ও থিয়েট্রেক্স বাংলাদেশ যেমন প্রযাজনা করেছে তেমনি ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যে সেগুলো মঞ্চস্থও হয়েছে। জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ, সমকাল, প্রথম আলো প্রভৃতি দৈনিক পত্রিকায় শিলপকলা বিষয়ে লিখেছেন। বর্তমানে ইংরেজি ত্রৈমাসিক ডেপার্টে শিল্প ও পারফরম্যান্স নিয়ে ইন্টারডিসিপ্লিনারি পন্থায় নিয়মিত লিখেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।