শুভ্র এক নির্জন পিচঢালা, বৃষ্টিভেজা রাস্তা ধরে হাঁটছে। তার সামনে একটি মেয়ে হেঁটে চলেছে। সে মূলত মেয়েটির পিছু পিছুই হাঁটছে। সে খুব চেষ্টা করছে মেয়েটিকে ধরতে। কিন্তু না, কিছুতেই সে মেয়েটিকে ধরতে পারছে না। শুভ্র অনেক দ্রুত হাঁটতে থাকে; কিন্তু কী আশ্চর্য ব্যাপার! তবুও ওদের মাঝে একটুও দূরত্ব কমছে না। মেয়েটি শুভ্র থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে। শুভ্র চিৎকার করে ডাকছে মেয়েটিকে, এই মেয়ে শুনছো! দাঁড়াও, একটু দাঁড়াও।' কিন্তু না, শুভ্র নিজেই নিজের চিৎকার শুনতে পাচ্ছে না। শুভ্র এক অচেনা আকর্ষণে ছুটে চলেছে মেয়েটির পিছু পিছু। আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তার দুপাশে ঘন গাছের সারি। বৃষ্টিতে গাছের পাতাগুলো ভিজে একাকার। শুভ্র এর আগে কোনোদিন এ রাস্তা দিয়ে হাঁটেনি। এ জায়গাটিকেও সে চিনে না। মেয়েটির পরনে নীল রঙের শাড়ি। ভেজা শাড়ির আঁচল বাতাসে উড়ছে। মাথায় অনেক লম্বা চুল, একদম পায়ের পাতা ছুঁই ছুঁই। চুলগুলো ভীষণ রকম কালো। মেয়েটি খালি পায়ে হেঁটে চলেছে। এক পায়ে নূপুর বাজছে। পায়ের পাতা দেখা যাচ্ছে, দারুণ রকম ফর্সা পা। মেয়েটি যখন হাঁটছে হাত দুটিও দুলছে। মেয়েটির হাতে এক গোছা কাঁচের চুরি। লাল, নীল, কালো- আরও কতো রঙের।