“রোদেলা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ফোন বাজে। ফোন ধরে আজমল। অপরিচিত কণ্ঠ। রােদেলার। রােদেলা বলে, আজমলের সাথে তার দেখা হয়েছিল। কিন্তু আজমল মনে করতে পারে না। আজমল মিথ্যের আশ্রয় নেয়। রােদেলা ভাবে, সে সঠিক মানুষ-ই খুঁজে পেয়েছে। কুঁকড়ানাে চুল, চোখে চশমা। সম্পর্ক দাঁড়িয়ে যায়। দেখা হয়। এতাে অন্যমানুষ ! ভেঙে পড়া। রােদেলার। কিন্তু ইতােমধ্যে সম্পর্ক তাে দাঁড়িয়ে গেছে। গােপন মানুষ খোজে। গােপন মানুষ আসে। বর্তমানও বাতা। কনফিউশন। টানাপােড়নের গল্প। জীবনের। প্রেমের। এরকম-ই। আহারে বালক আমার। রােদেলা আমাকে জড়িয়ে ধরে। আর আমার মনে হয়, আমি নিজেই একটা ঘুড়ি। উড়ছি তাে উড়ছি-ই। পাখির সাথে, রােদের সাথে, চাদের সাথে। আমার উঠতে ইচ্ছে করে না। রােদেলা আমাকে তাড়া দেয়। উঠো জলদি। বকা খাবাে। রােদেলাকে এগিয়ে দেই। আসাদগেট পর্য। আড়ং থেকে একটা গিফট কিনি। রােদেলার জন্য। সে নিতে চায় না। জোর করে দেই। সে চলে যায়। রেখে যায় বিকেলের নরম রােদ। রােদের মায়া। আমার জন্য। আমাদের জন্য। মানুষের সম্পর্কটাই এরকম। ছায়া। ছায়ার মতাে। মানুষ যায়, সেও যায়। না চাইলেও। হয়ে যায়। বেঁধে ফেলে। অজাড়ে। এরকম-ই। মানুষের নাম মায়া। মায়া-ই তাে !
জন্ম ১৯৬৪ সালের ১০ নবেম্বর। সুনামগঞ্জে। সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,সরকারি চট্রগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।বর্তমানে যুক্তরাজ্যে কর্মরত। মোহাম্মদ হোসেন প্রচলিত বিষয়কে নিজস্ব আধুনিক দৃষ্টি ও ভাষা দিয়ে সাজিয়ে, পাঠককে দিতে চান গভীর অনুভব ও বিস্তৃতি। ভাষার অভিনব উৎকর্ষতায়, মানুষকে স্রস্টার চোখে দেখে, কোন চরিত্র সম্পর্কে ভালমন্দ একচ্ছত্র দাগ না ফেলে, মননশীল পাঠককে দিতে চান বিস্ময়ের গভীরতা আর অন্তহীন অনুভবে ডুব দিয়ে, মানুষকে পাঠ করেন নিভৃতে, মেলে দেন অজস্র ডালপালা, জীবনের গুপ্ত সব অনুসন্ধানে এবং এভাবে, এভাবেই । প্রকাশিত গ্রন্থ- মায়ের গোপন ডায়রি,বিউটিফুল, রিজিয়া উদ্দিনের বসত, যেখানে এসে ট্রেন থামে,লোকটির চোখে কুয়াশা ছিল,নগ্ন, জোছনার কয়েদিরা, মা, পরবাস, রোদেলা, অতঃপর প্রভু বললেন, মিতার সাথে একরাত,ছিঁড়ে যাওয়া বাখরপাতার গল্প, লাঙ্গল টু লন্ডন। দরিদ্র মানুষের জন্য সুদ ও ফিমুক্ত ঋণ প্রতিষ্ঠান ‘যা নিবা তা দিবা’ এর প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।