"ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা" বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: নথিপত্র অনুযায়ী ১৬১৭ সালে মিসেস হাডসন এবং তার কাজের মেয়ে ফ্রান্সেস ওয়েব প্রথম ভারতে আসা দুই বিলাতি নারী । তবে আঠারাে শতকের শুরু থেকেই বিলাতি নারীরা বিভিন্ন কারণে ভারতে পারি জমান। ভারতে তারা কখনাে কারাে স্ত্রী, কখনাে প্রেমিকা, কখনাে হাসপাতালের সেবিকা হিসেবে, আবার কেউ মিশনারির কাজ, আবার কেউ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেছিলেন সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন কাজের সাথেও যুক্ত ছিলেন ভারতে অবস্থানরত এই বিলাতি নারীরা ছিলেন ঠিক আমাদের মতই রক্তমাংসের মানুষ। বিভিন্ন রকম ছল-চাতুরী, লােভ-হিংসা-বিদ্বেষ, কাম-প্রেম-ভালােবাসায় তাদের জীবন ছিল সিক্ত। এক চিলতে সুখের খোজে এই বিলাতি নারীরা যখন ভারতে পারি জমান তখন তাদের চোখ ভরা ছিল স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কারাে জীবনে সত্য হয়ে ধরা দিয়েছিল আবার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে গিয়ে কেউ কেউ জীবনসংগ্রাম থেকে ছিটকেও পরেছিলেন। তবে এ কথা বলা যায় যে, তাদের জীবন ছিল নানান মাত্রায় বৈচিত্রতায় ভরপুর। ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা গ্রন্থটিতে ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীদের জীবন চিত্রটি অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে।
লেখক ও প্রাবন্ধিক। জন্ম ঢাকা, বাংলাদেশ। পড়াশােনা বাংলাদেশ এবং উত্তর আমেরিকায়। নিউইয়র্ক মুক্তধারা বইমেলা, নিউইয়র্ক ফিল্ম সেন্টার, নিউইয়র্ক। সাহিত্য একাডেমিসহ নিউইয়র্কভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প-সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে। জড়িত। পেশায় আর্থিক বিশ্লেষক এবং পরামর্শক। নেশা গবেষণা, লেখালেখি। ইতিহাস তার প্রিয় এবং প্রধান একটি বিষয়। ভারত উপমহাদেশ তাে বটেই, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন, ঐতিহাসিক রাজনৈতিক এবং সামাজিক ঘটনাবলির ওপর তাঁর গভীর। আগ্রহ রয়েছে। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : চেনা। অচেনা শহীদ কাদরী (মাওলা ব্রাদার্স,। ২০১৮) অ্যাকুরিয়ামের মাছ ও হলুদ প্রজাপতির গল্প (মাওলা ব্রাদার্স, ২০১৯), ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা | (ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ, ২০১৭), জানা-অজানা। রবার্ট ক্লাইভ (সূচীপত্র, ২০১৪), আমেরিকানামা (সূচীপত্র, ২০১৫), পূর্ব-পশ্চিমের আলাে (প্রিয়মুখ, ২০১৭)। পছন্দ ঘুরে বেড়ানাে, সিনেমা দেখা এবং বই পড়া।