"আকাশরাজ্য" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: আফ্রিকার ছােট্ট রাজ্য লিসােটোতে বেড়াতে গিয়ে রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত করতে না পেরে লেখক ম্যাডলক সাহেবের কটেজে আশ্রয় নেন । কথাবার্তায় জানতে পারেন, ম্যাডলক যে সুদর্শনা নারীর জন্য শৌখিন কটেজ তৈরি করেছিলেন, সে তাকে ত্যাগ করে ঘর বেঁধেছে এ কটেজের স্থপতির সঙ্গে। পাঠকদের সঙ্গে লেখক পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর এইডসগ্রস্ত গাইডের। স্বভাবে কবিয়াল মানুষটি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মৃত্যুর। বর্ণনা করেন ব্ল্যাকম্যাজিকের। জাদুটোনায় ব্যবহারের জন্য শ্বেতীগ্রস্ত এক মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নির্মমভাবে কেটে নেওয়ার ঘটনা। অনিরাপত্তায় মানুষটি অনুনয় করে তাকে যেন কারাগারে পােরা হয়। এক জমানায় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছিলেন শরীরের তীব্র আবেদন ছড়ানাে এক রূপসী। এ যাত্রায় পাঠকও লেখকের সঙ্গে সেই রূপসীর তালাশ করেন। তাঁর দেখা পান উপত্যকার নিভৃত এক কুটিরে। বাশক্তিহীন স্ট্রোকে জর্জরিত মহিলা সেখানে একাকী বাস করছেন। কাউকে দেখাতে চান না তার মুখাবয়ব, তাই তিনি মুখে তুলে নিয়েছেন মুখােশ। লেখক মঈনুস সুলতানের অতুলনীয় বর্ণনায় পাঠক নানা ধরনের মানুষের দেখা পাবেন এবং উপভােগ করবেন তাদের বিচিত্র দিনযাপন।
জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি ।খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা, গবেষণা ও কনসালট্যান্সির কাজে বহু দেশ ভ্ৰমণ করেছেন। বর্তমানে সিয়েরা লিওনে বাস করছেন।প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।